গলির মোড়ে লোমওঠা কুকুরগুলোর মতই নির্লিপ্ত জীবন আমার।
শুধু কূণ্ডূলী পাকিয়ে কুঁকড়ে একপাশে চূপচাপ পড়ে থাকা,
কারো কিছু দয়ার দান, অথবা কারো উদার হাতের ছুঁড়ে দেওয়া ভাত বা রুটির টুকরো,
সাগ্রহে চেটেপুটে খাওয়া আর দাতার দিকে নত মাথা আরো নত করে
কৃতজ্ঞতার ঋণ ধারণ করে ধরিত্রীর পানে লজ্জিত চাউনি।

কখনও কখনও লাঠি বা ছুঁড়ে দেওয়া ইট পাথরের টুকরো,
আবার কখনও একটু আদর একটু সোহাগ।
তারই মাঝে স্বপ্নের মত কাছে আসে প্রজাপতির পাখনা মেলে জোছনাসিক্ত ছোট্ট পরী,
মুক্ত ঝরানো নির্মল হাসিতে বলে, যেও গো আমাদের বাড়ী।


মরচে ধরা রংচটা তোরঙ্গে আমারই মত বিবর্ণ পোশাক ঝেড়ে বের করি,
তারাও পথ চেয়ে থাকে একটু রজনীগন্ধার সুবাসের জন্য।
মরচে ধরা রংচটা তোরঙ্গে আমারই মত বিবর্ণ পোশাক ঝেড়ে বের করি,
তারাও পথ চেয়ে থাকে একটু রজনীগন্ধার সুবাসের জন্য।


চোখে পান পাতা ঢাকা, কপালে টিকলি পরা এক অনিন্দ্যসুন্দর মুখ,
স্বপ্নে আসে লাল বেনারসী পরা সেই পরী,
ঘুম ভেঙ্গে যায়, পাশে শুয়ে আমার স্থবির মা,
ভোরের আকাশে শুকতারা আপন কাজে নিমগ্ন,
তবুও লাথখোর মেয়েরাও স্বপ্ন দেখতে বড্ড ভালোবাসে আজো।