শীতের পড়ন্ত বিকেল ডাক দেয় ঘরে ফেরার,
চার দেওয়ালের বেষ্টনী থাকলেই তো ঘর হয় না,
সাজানো আসবাবের মাঝে লুকানো মরচে ধরা মনে -
কোন চকমকি আলো জ্বালাবে?


খুব যত্ন করে সংগ্রহ করা বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য জিনিস,
হাত দেওয়া মানা,
দূর থেকে, অনেক……দূর থেকে দেখো,
নিষ্প্রাণ সুসজ্জিত সেই ঘরকে আমি বড্ড সমীহ করি।


কিছু করবী, বকুল, টগর আর বেলপাতা দিয়ে সাজাই একফালি মাটি,
মাথায় তুলে দি তার এক টুকরো লজ্জাবস্ত্র,
ঋতুমতী সেই মাটি পূর্ণতার অপেক্ষায় থাকে,
সে আসে ভৈরবী রাগে, পৌরুষের পবিত্র বীজ ছড়িয়ে দেয় তার সর্বাঙ্গে,
সুধন্যা সেই মাটির গভীরে মাতৃত্বের পূর্ণপ্রকাশ।


আমার সেই অনাড়ম্বর ঘর অসংখ্য সবুজ প্রাণে মুখরিত,
তাদের রূপ, রস, শব্দ, গন্ধ ও স্পর্শে আমোদিত আমার প্রাণের দেবতা,
তোমার চৌকাঠ পার হয়ে আসবে আমার ভরন্ত সংসারে?
আসবে কি?