ধানিরঙা শাড়ী নন্দিনী তুমি কৃষকের পৌষালী,
যমুনার তীরে কুয়াশা বাসরে সেলিম আনারকলি,
শীতের পরশে আদুরে ডালিয়া শতরূপে বিকশিত,
ধূলো মেখে গায়ে মূক মেয়েটা নীরবে প্রস্ফুটিত।


পথের দুধার দিয়েছে সাজায়ে কত ফুল অনামী,
ভালোবাসা দিয়ে ছোট ঘর বাঁধে চণ্ডীদাস আর রামি,
উজানের টানে মন চলে যায় কোন সুদূরের পানে,
বনলতা ঘেরা সবুজ আঙিনা কুসমিত কার দানে?


গোধূলি আলোয় নবরূপে সেজে বয়ে চলে গোমতী,
গীতগোবিন্দ অধরাই হত, যদি না থাকত পদ্মাবতী।
ভোরের আকাশ রবির কিরণে গায় জীবনের গান,
পরদেশী তুমি আপন ঘরে! এই কি মাটির টান।


কৃষ্ণচূড়ার আবির ছড়ায়ে নন্দিনী তুমি চৈতালি,
ফুলবনে আজ উতলা হাওয়া গাইছে মনের অলি,
তুমি আর আমি হারাবো দুজনে কোকিলের কূজনে,
না বলা কথা, নীরব চাওয়া, ভুলে মিশে যাবো দুজনে।