কৃষ্ণচূড়ার সাথে আসে পলাশ-শিমুল,
কে আগে ছড়াবে রঙ তর্ক তুমুল।


অশোক গাছের ছায়ায় বৃদ্ধা রাধা একাকিনী বসে, বড় আনমনা।
শুধাই তারে, রাই তোমার কালা আর সখীরা কোথায়?
নব নব রূপে তারা নবমঞ্জরী, অলির সোহাগ মেখে খেলে লুকোচুরি।


আর তুমি?
বাঁশীতে লেগেছে ঘুণ, নিভেছে শরীরে আগুন,
তবুও আপন লয়ে এসেছে ফাগুণ।
কালা নিয়ে কানাকানি লাগে না ভালো,
কালা’র আঁধার শেষে ভোরের আলো।
সাদার সৌম্যতায় ভালোবাসার জমি,
লালেতে রাঙিয়ে দি’ নিজ মনোভূমি,
সবুজের সজীবতায় সত্য শিব সুন্দর,
গোলাপির মেদুরতায় লাজুক অন্তর,
হলুদের অমলতা বন্ধুর প্রাণে,
নীলের প্রগাঢ়তা নীলাদ্রীর গানে,
কমলার কোমলতা গোধূলি মিহিরে,
বেগুনী আকাশ পথে ঝরুক শিশিরে।


রঙে রঙে মিলেমিশে প্রস্ফুটিত বনে,
বসন্ত জাগ্রত হোক সবাকার মনে।