ফিরোজা রঙের আকাশটা এখনো অসূর্যস্পর্শা,
দুহাতে আবির ছড়িয়ে একটু পরেই দেখা দেবে নতুন সূর্য,
সূর্যতোরণে রাঙা আকাশ তখন সূর্যতপা,
নতুন দিন, নতুন আলো, নতুনের জয়গান।


তুমি সেই নতুন উজানে এসে দাঁড়ালে,
নীল পাটভাঙা শাড়ীতে তুমি নিজেও একখণ্ড নীলাকাশ,
তোমার অসীমে সাজিয়ে নিলে তোমার নতুন বসুন্ধরা,
যেখানে সব, সব নতুন,
গ্রীষ্মের তারুণ্য, বর্ষার সজীবতা,
শিউলি-গন্ধী শরৎ, শিশির মাখা হেমন্ত,
ফসল-গন্ধী শীত আর উচ্ছসিত বসন্ত।


তোমার সব নতুনের মাঝে তুমি হয়ে থেক চিরনবীনা,
শুধু আমাকে দেবে তোমার,
কালকের উচ্ছিষ্ট বাসি রোদটুকু,
ঘুপচি ঘরের মানুষগুলো সূর্যস্নাত হয়ে
তোমার নতুন গ্রীষ্মের তারুণ্যকে দেখবে দুচোখ মেলে।
তোমার শিউলি-গন্ধী শরৎকে যখন আবাহন করে আমোদিনী বর্ষা,
তার উপচে পড়া কিছু সোহাগ আমায় দেবে?
রুক্ষমাটির দেশের মেয়েদের ডেকে
আমি ভরিয়ে দেবো ওদের নির্জলা কলস।
ওরাও তোমার হেমন্তের শিশিরে ভিজে,
নবান্নের নতুন ফসল তুলুক ঘরে,
কৃষ্ণচূড়ার বাহারে ওরাও হয়ে উঠুক বসন্তের নব কৃষ্ণকলি।
ওদের তৃপ্ত মুখচ্ছবি আমি এঁকে দিই -
তোমার আকাশ হয়ে উঠা শাড়ীর নতুন আঁচলে।