দেখলে কি শুধু চারকোলের চাপা লাল আগুন,
আগুনের ওই গর্ভগৃহে কৃষ্ণচূড়ার ফাগুন।
ফাগুন দিয়ে সাজানো তোমার রঙের বর্ণমালা,
বর্ণচোরাদের বন্দরে নামে জতুগৃহের তালা।


অভাবী মনের অন্দরে আজো সারেঙ্গীর চিরাগ,
ধূমায়িত ক্ষোভে পাতালপুরে অনন্ত শেষনাগ,
পেখম মেলেছে নীলচে স্বপ্ন গর্ভের সুখচরে,
উপোষী শরীর মাটি ছুঁতে যায় অদেখা নোঙরে।


স্পর্শসুখের ফুলদানিতে বিবাগী হাসনুহানা,
সাথে থেকো, ঠিক চিনে নেব কাকদ্বীপ, নামখানা,
জল থৈথৈ অগোছালো ঘাসে জলজ কলমি ফুল,
ওষ্ঠ হয়েছে পরাগগন্ধী, হোক না একটু ভুল।


আনমনা ঐ হলুদ গাঁদায় ঘরমুখো রোদ্দুর,
রোদ্দুর তুমি নিয়ে যাবে আমায়? দূর বহুদূর,
বহুদূরের কোন সে জেলায় তোমার রাজ্যপাট,
রাজ্যপাট! নাঃ, দেখব শুধু কুমোর পাড়ার হাট।


আলোক বর্ষের যোজন দূরে একাকি সত্যবতী,
পরাশর, তুমি চলে যাবে জানি, নিও শুধু সম্মতি,
শেষ বাসস্টপে পৌঁছে দিয়ে হয়ে যাবো মহাকাশ,
কালো মেঘের প্লাবন সুধায় অজানা উপন্যাস।