যখন খোকা চার বছরের
বাবু আবার করলো বিয়ে,
খোকার মা তো মারা গেছিলো
ডেঙ্গু জ্বরে কাহিল হয়ে।


খোকাই ছিল মানিক হয়ে
বাবা মায়ের কোলে,
চোখের বালি হলাম খোকার
নুতন মা এলে।


কোলে পিঠে গড়ে করলাম বড়
ছোট্ট খোকাটিকে,
আজ সেই খোকা পড়ছে ওই
বড় কলেজ টিতে।


বড়ই মায়া ও  খোকার উপর
খোকার এখন সাহেব ধরন,
বয়স কালেতে পরলে টোপর
ছেলে হত আমার খোকার মতন।


ইংরেজীতেও বেশ কথা কয়,
ছাতার মাথার কিচ্ছু বুঝি না,
খোকন আমার নারকেল নাড়ু,
বেশ ভালো খায় জবাব মেলে না।


খোকার কাছে গেলেই শুধু ,
নারকেল নাড়ু চায়
কদ্দিন পরে হবে ফের দেখা
আনন্দ ধরে পারি না রাখতে।


কত ভাবনা মনের মাঝে,
এলাম খোকার হস্টেলেতে,
খোকা! বলেই জড়িয়ে ধরতে,
খোকা উঠলো হাঁসফাঁসিয়ে।


"সি ইস মেইড সার্ভেন্ট" বলে
খোকা আমার পরিচয় দেয়,
গর্বে আমার বুক ভরে যায়,
খোকা  ইংরেজী কথা বেশ কয়!


গ্রামে ফিরে সবার কাছে
বুক ফুলিয়ে বলি
খোকা আমার হয়েছে এক
ইংরেজীর ঝুলি।


"সি ইস মেইড সার্ভেন্ট" বলে
খোকা দিলো মা পরিচয়,
আজ যে আমার অনেক পাওয়া
এর থেকে আর কিছু কি হয়?


গ্রামে মাস্টার বললেন মোরে
হেসো না আর বিশাল জোরে,
কি আর বলব তোমায় বলো তো
ওই নামে চাকরানী ঘোরে।


শুনেই চক্ষু ছল ছল করে
খোকার বলা ভালোই হলো,
ছোটোলোক জাতে জন্ম আমার
চাকরানীই হয়ে থাকা ভালো।


খোকা তো আমার রক্তের নয়
তাই চাকরানী বলে দেয় পরিচয়।