গায়ের রং কালো বলে,
বাপ নাম রেখেছে কৃষ্ণকলি,
কেও বা ডাকে শ্যামা;আবার কেও বা ডাকে কালী.
নিজের মুখে নিজের কথা,বেশ শরম লাগে,
তবে চোখ দুটো আমার বেশ টানাটানা,
যেন কাজল নয়না হরিনী,
ঘন কালো কেশ আমার,
যেন কোনো এক রাজ নন্দিনী.
তবুও শুনতে হয় লাঞ্ছনা গঞ্জনা
কারন ;আমি যে কালো,
তাই আমার মন কেউ বোঝেনা.
পড়াশুনা তে আমি ম্যাট্রিক,
ক্যারাটে কুংফু জানি অল্পস্বল্প,
লুকিয়ে শিখে ছিলাম ,
ইস্কুলের পাসের ক্লাব থেকে.
রান্না বান্না সেলাই ফোড়ায় সবই জানা আছে.
গান ও জানি অল্প,
গান যে শিখতে ই হবে,
ঠাম্মা বলে; না হলে বিয়ের বাজারে হব না যে পাশ,
গায়ের রং যে কালো আমার, না হলে
এ পাশ ও পাশ ধপাস.
বিয়ের বাজারে আমি বড্ড বেমানান,
শুনতে হয় সবার লাঞ্ছনা গঞ্জনা আর অপমান.
বাজারের আলু পটলের মত হয় আমার দর কষাকষি.
দোর বন্ধ করে কেঁদে ছিলাম আমি,
আমিও তো হতে চেয়েছিলাম,
ইস্কুলের দিদিমনি,
আমি কালো বলে তোমরা আমায় পড়তে দিলে না.
পড়লে নাকি বিয়ের বাজারে হবে না আমার ঠঁাই.
রুদ্ধ শ্বাসে পড়েছিলাম  ঘরের এক কোনে,
হঠাৎ শুনি হারে রে রে করে ডাকাতের আওয়াজ,
ডাকাত পড়েছে বাড়িতে.
দৌড়ে গেলাম লাঠি হাতে,ঘায়েল করলাম
ক্যারাটে বিদ্যার ছোঁয়ায়.
বাবা বলে উঠল এ যেন কালী কালী মহা কালী রুপ.
এ আমার কৃষ্ণ কলি?
সবাই অবাক দৃষ্টে তাকিয়ে আমার দিকে,
ঠাকুর ঘরে ঠাম্মার শাখের শব্দ,
আকাশে বাতাসে যেন ভেসে আসছে,
শরন্যে ত্রম্যকে গৌরী,নারায়নী নমস্তুতে.