আজ উষা বেলায়-
ফোটে নি আলো তখনো।
পৌষের কনকনে ঠান্ডা আর
কুয়াশার চাদর মোরানো ভোরে,
শিশির বিলাসে আমি চলিনু প্রাত: ভ্রমনে।


গায়েতে জড়ানো কয়েক পরল থান
তার উপরে আবার বিলেতি গোছের শাল।
তবুও না মানে নছেক ঠান্ডা
না থামে বিলম্বকাল।


মনে মনে ভাবি যাই ফিরে বাড়ি
কাজ নাই শীতে মরি,
আবার নছেৎ ভাবি চলিলাম হাটি
উদ্যান তটে বিশুদ্ধতার খোঁজে।


কিছুদূর যেতে শুনি কান পেতে,
কে কাদিছে হেতা কোন অভিসারে।
ঠাহরানো চোখে যখনি তাকাতে
আখিঁ জোড়া মোর ভাসিল প্রপাতে।


অভাগী মাতা, আহা! বিধাতা,
জড়ায়ে বুকে শিশু, কেবল পাটের বস্তা গায়ে,
না মানে শীতে, কাপে অবিরতে
শুধু চোখ দুটি মা'র বাছারে দেখে চলে।


হে বিধাতা! জগৎ ত্রাতা
কি দোষ মাতার বা ভূমিষ্ট বাঁচার?
একখানা থান করিতে দান
নাই কেহ তটে তব ধরনীতে?


নাই যদি তবে ঠাই তার হবে
কেন হে রব তারে পাঠালে ভবে?
সেও তোমার সৃষ্টির শ্রেষ্ট যদি হয়
তবে আজ বল নাথ কেন এই পরিনয়?


ধিক তব নাথ সাথে ধিক মোরে
প্রাত: ভ্রমন করি প্রাত: বিলাসে।
বিলাতে চিকিৎসা সর্দি কবু ধরে
তাদের শরীর খসে রোদ বৃষ্টি ঝরে।


ধনীর ধন বাড়িছে আরো,
রাখি গরীবের কাঁদে প্রস্থর খন্ড।
নাই ধনীর কানা কড়ি
দুর্বিক্ষেও যদি গরীব মরে কারি।


চারি খানি থান গায়ে না মানে শীতে
শাল নিলাম আবার রহিতে তাতে
ধিক ধিক মোরে, নর নহে; অধম হলেম বটে।
এমন হাজার মায়ের অভিশাপে
আজ বেচে আছি অভিশপ্ত তটে।