আগেকার নারীদের হৃদয়ে কতটা স্বামী ভক্তি ছিলো
প্রেম, ভালোবাসায় ভরপুর ছিলো হৃদয়
তখন এতো পার্ক, রেস্টুরেন্টে, কেন্টিন ছিলোনা
কমতি ছিলোনা ইস্ক, মহব্বত।
কখনো ঘুরতে যেতো না সমুদ্র সৈকতে
দিনাতিপাত করতো নুন পান্তা খেয়ে
ভালোবাসা অটুট রাখত শত ব্যস্ততার মাঝে
টুটতে দিতো না বৈশাখীর ঝড়ে।
পাপ হবে ভেবে নিতো না মুখে স্বামীর নাম
শ্রদ্ধায় নত করাত এ শির
ভাবতো তার স্বামী-ই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বীর।
আগেকার সংসারে তেমন ভাঙ্গন গড়ন ছিলো না
পরিচিত ছিলো না ডিভোর্স নামক শব্দের সাথে
আধুনিক সভ্যতা এ যেন অসভ্যতার এক প্রতিমূর্তি।
আধুনিক সভ্যতার এক মহামারী ডিভোর্স
চৈত্রের দাহের মতো পোড়াচ্ছে জীবন
কাচের টুকরোর মতো ভাঙ্গছে সংসার
চলছে ছুটছে লাগামহীন ঘোড়ার মতো।
তসলিমার প্রস্থান হজম করতে পারেনি কবি রুদ্র
অতিরিক্ত অ্যালকোহল পানে অকালে জীবন হলো স্তব্ধ
রাতের আকাশের তারকা হয়ে
সারারাত অবলোকন করে প্রেয়সীকে।
নিজেদের সুখের তরী সুখের সাগরে ভাসাতে
কচিমুখ গুলোর জীবন ঠেলে ফেলে দিচ্ছে
এক অনিশ্চয়তার, নির্মম, নিষ্ঠুর পৃথিবীর দিকে
যে পৃথিবীতে কেবল হিংস্র শকুনিদের বাস।
কথার প্রসঙ্গে এলে আগেকার নারীরা বলতেন
আমডা বাড়ির তাইন এই করেছে, সেই করেছে
স্রষ্টার পর স্বামীকে করেছে মান্য
ধন্য ধন্য আগেকার নারী-পুরুষের জীবন ধন্য।