বৈশাখ এলেই প্রকৃতি নব বধূর সাজে সজ্জিত হয়
গাছে-গাছে সবুজ কুড়ি_পথের কিনারায় দূর্বাঘাস দেয় উঁকি
সোনালী ফসলের বিস্তৃত মাঠ_মাঝি ঠিকঠাক করেন পুরনো ঘাট
পুরনো তরীতে তালি মেরে_কালো আলকাতরায় নেন সাজিয়ে।


বৈশাখ এলেই আকাশ গোমড়া হয়ে আসে_হুংকার দেয়
চৈত্রের মার্তণ্ডের তাপে ফাটা মাঠঘাট প্রার্থনা করে
প্রার্থনা করে জলের বুকে বাস করা ব্যাঙ
এক পশলা বৃষ্টির জন্য_মুশলধারা বৃষ্টির জন্য।


বৈশাখ এলেই গায়ের বধূরা ব্যস্থ হয়ে যায়
উঠান লেপাধান মাড়ানোসিদ্ধকরা_শুকানো
নরম পায়ের আলতো ছোঁয়ায় সাগরের ঢেউয়ের মতো ঢেউ তুলে দেয়
চোখ রাখে আকাশ পানে_কখন অঝোরে বৃষ্টি নামে।


বৈশাখ এলেই সাগর উত্তাল হ'য়ে যায়
হাজার বছরের ক্ষুধার্ত রাক্ষসীর মতো হয়ে যায়
ঘূর্ণিপাক ঘুরপাক খেতে খেতে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি করে
চোখের পলকে লঞ্চ_স্টিমার সাবাড় করে নেয়।


বৈশাখ এলেই বক্ষে ভয় বাসা বাঁধে
জরাজীর্ণ কুঁড়েঘর_চারপাশের বেড়া ছিদ্র
কালবৈশাখীর মাতাল ঝড়_নেইকো কোন আপন পর
উড়িয়ে নিয়ে যাবে_ভাসিয়ে নিয়ে যাবে আমার এ ঘর।