মনে দুর্দান্ত, অদম্য সাহস নিয়ে দাঁড়িয়েছি
অপেক্ষা করছি আন্তঃনগর, বিরতিহীন ট্রেনের
তুমি ফিরে না এলে জীবনলীলার অবসান ঘটাবো বলে।
ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে মারা যাওয়া মানুষগুলো
খোলা চোখে ড্যাবড্যাব ভাবে তাকিয়ে থাকে,
প্রকৃতি এবং আপনজনদের সাথে ইশারায় কথা বলে।
আমার নিথর শরীরটা পড়ে থাকবে রেললাইনের পাশে
বিন্দু বিন্দু শিশির জল খুব যত্ন করে স্নান করিয়ে দেবে আমায়
শতাধিক মানুষ জড়ো হবে
দাঁড়কাক-শকুনি উড়বে মাথার উপর
পৃথিবীর সব মানুষের সাথে সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটবে
হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের সম্পর্ক নাহি টুটবে।
নীড় ছেড়ে তুমি আসবে কি জড়ো হওয়া মানুষের ভীড়ে
ড্যাবড্যাব চোখে খুঁজবো তোমায় দূরের ঐ ফসলের মাঠে
হয়তো আসবে, হয়তো-বা আসবে না
যদিও আস চক্ষুড়ালে থেকে ওড়নায় জল মুছবে।
আমি চলে যাবো সব সন্দেহের অবসান ঘটাতে
তোমার হৃদয়ের যাতনা রোধে ত্যাগ করবো জীবনের মায়া
তোমার ত্রিসীমায় যাবেনা আমার অশুভ আত্মার ছায়া।
এলোকেশী ছদ্মবেশী, নানান রঙে নানান ঢঙে তোমায় দেখি
কখনো খোলা চুল আবার খোঁপায় গুঁজা বেলীফুল
তোমার বেদনার বিষে বিষাক্ত হৃদয়ের শেকড়-বাকড়, শাখাপ্রশাখা, আঁকড়ে থাকা মূল
একযুগ আগে জীবনের অবসান না ঘটানোটাই ছিল এই ছন্দহীন জীবনের বড় ভুল।


তারিখঃ ১৪/০১/২০২২
বড়মুড়া, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়।