এই পড়ন্ত বিকেলে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে ভাবছি
আর মাঝেমধ্যে গরম চায়ে চুমুক দিচ্ছি
হঠাৎ হারিয়ে গিয়েছিলাম সেই ভবঘুরে জীবনে
মাতাল হাওয়া মাতিয়ে যাওয়া ভুবনে।
সেই অতীত গুলো মনে হলে ব্যথিত হওয়ার চেয়ে
দু'ঠোঁট ফসকে একটি মুচকি হাসি বেড়িয়ে এসে
সকাল সাঁঝে হারিয়ে যায় সবুজ ঘাসের বুকে একবিন্দু শিশিরের মাঝে।
এই নীল আকাশ, গোধূলির আলো তখন আমায় এতোটা ভাবাতো না,
আহবান করতোনা তাদের মাঝে হারিয়ে কিছু কুড়িয়ে নিতে
নদীর কলকলধ্বনি, সমুদ্র সফেন, চাঁদনী রাত
হাত নাড়িয়ে ডাকতো না তাদের প্রেমে হারিয়ে কিছু লিখতে।
যখন আমি আমার গায়ের জামা হারিয়ে
এক হাতে শরাবের পেয়ালা আর অন্য হাতে সিগারেট রেখেছিলাম
অনেকে আঙুল উঁচিয়ে বলতো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে
তলিয়ে গিয়েছে এলকোহলের অতল গহ্বরে।
তারা কখনো করতো না আত্মসমালোচনা
ব্যস্ত রাখতো নিজেকে পরনিন্দা আর চুগলখোরিতে
পুঁজি ছিলো তাদের মিথ্যে বুলি
এই পাড়ার কিচ্ছা আসতো তারা ঐ পাড়ায় বেইচা।
তারা কখনোই জানতো না যে উত্থানপতন কেবল মানুষের বেলায় হয়
কি করে জানবে তারা তো কখনো খাতা কলম ছুঁয়েও দেখেনি
উত্থানপতনের গল্প কি করে জানবে।
আচ্ছা রুহুল আমিন তোর কি মনে আছে?
অনেকে তোকে নিষেধ করতো, বাঁধা দিতো
আমার সাথে চলতে, খেতে, ঘুরতে, চা পান করতে
তুই এইসবের তোয়াক্কা না করেই আমার সাথে বিন্দাস ঘুরে বেড়াতিস।
তোর কি মনে আছে খোলা আকাশ দেখাতে
দক্ষিণা সমীরণে বুক ভরাতে মাঝেমাঝে তুই আর রাশেদ
ছাঁদে নিয়ে তাঁরার রাজ্য দেখাতিস
আর ধুমকেতু দেখিয়ে বলতিস ভাই দ্যাখো ধুমকেতু
আমাদের জীবনটা এই ধুমকেতুর মতো, হঠাৎ একদিন হারিয়ে যাবো।
ভগবানের কৃপা না হলে এই অন্ধকূপ থেকে কেউ
বেড়িয়ে এসে আলোকিত জীবন গড়তে পারে না
স্বপ্নের সিড়ি বেয়ে মেঘের ভেলায় চড়ে চন্দ্র ছুঁতে পারে না।
রিমঝিম বৃষ্টিতে মনে পড়ে পুরোনো অতীত
এক রাতে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে
বেলকনিতে রাখা ইজিচেয়ারে বসে সিগারেট টানিতেছিলাম
হঠাৎ রাকিব বাতায়ন খোলে আমায় বলে
ভাই দ্যাখো মোমবাতিটি নিজে জ্বলে চারপাশ আলোকিত করছে
মানব জীবনও ঠিক মোমবাতির মতোই
নিজে জ্বলবে অন্যকে ভালো রাখার জন্য।