এই গুণেধরা সমাজ গুলোতে
শিকড় গেড়ে বসা অসভ্য জানোয়ারেরা
অ-আ লিখতে কিংবা পড়তে পারেনি
আজ তারা সমাজের মাতব্বর-ফাতব্বর
পবিত্র এই সমাজ গুলোর আইন প্রণেতা
পরিচালক কিংবা বাস্তবায়নকারী।


এইসব সমাজ আজ নোংরো, কলোষিত।
মুর্খ মাতব্বর গুলোর সাথে হাত মিলিয়ে
উচ্চ আওয়াজে বুক ফুলিয়ে কথা বলে
কতিপয় শিক্ষিত বেয়াদব জানোয়ার।


যারা কিনা বিয়ের পূর্বেই বিভিন্ন অপকর্ম করে
সেই অপকর্মের ফসল নিষ্পাপ শিশু
হসপিটালে গর্ভপাত করে আসে।
আজ তারা নিজেকে দাবী করে শিক্ষিত বলে
এই ঝরাজীর্ণ সমাজের আইন প্রণেতা হিসেবে।


আজ তাদের নাম, গুনগান পেপার পত্রিকায়
খুব বড়বড় করে ছাপা হয়
হয় লোক মুখে তাদের জয় ধ্বনি।
মেল মিটিংয়ে দাড়িয়ে নীতির ভাষণ
মেল শেষে অন্যের স্ত্রীর পেডিকোটের নীচে আত্ম গোপন।


যে শিক্ষিত শুয়োর নিজেকে
শিক্ষিত পন্ডিত বলে দাবী করে
কিছুদিন আগে তার সম্মুখে
সমস্ত সমাজের মা’কে নিয়ে গাল দেয়
সেই দিন সে বৃদ্ধাগুলি চুষে ছিল
কারণ, অপরাধীর পেছনে ছিল
ক্ষুরধার স্রোতের মতো লাঠি।


আজকের এই সভ্য সমাজে
কাছিম বিক্রি করে মদ্য পান করে
প্রতিবাদের ভাষা নেই তাদের মুখে
কারণ তারা তাদেরই দলভূক্ত বলে।


আর আমি সেই দিন প্রতিবাদ করাই
অসহায়, দুর্বল, লাঠিহীন বলে
গুণেধরা ঝরাজীর্ণ সমাজের
আইন প্রণেতারা, শিক্ষিত শুয়োরেরা
আমাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করায়।


অনন্ত, অক্ষত চীর জাগ্রত ভগবান
যেইদিন তোমাদের করিবে ক্ষয়
সেইদিন কেহ নাহি করিবে তোমাদের জয় জয়।
এই কি ছিল?
শেরে বাংলা, মাওলানা ভাষানি
বঙ্গবন্ধু কিংবা জিয়ার বাংলাদেশ নামক
ভূখন্ডের সমাজ ব্যবস্থার স্বপ্ন।