যদি জানতেম তোকে হারানোর বেদনা এতোটাই তীব্র হবে
হৃদয়ে এতোটাই ক্ষতের সৃষ্টি হবে
তোকে শিকল দিয়ে কোমরে সারা জীবনের জন্য বেঁধে নিতাম।
কেমন আছিস-রে পাগলী?
এই উন্মাদ, বড্ড উন্মাদটাকে ছেড়ে।


কখনো কি জানতে চেয়েছিলে?
তোকে ছাড়া এই বাউন্ডেলেটা কেমন আছে।
এতোগুলো দিন, মাস, বছর পেরিয়ে যুগে পদার্পণ করছে
বুকের ভিতরে ঘৃণা চেপে রেখে
একটি বারের জন্যও কোন এসএমএস, কোন কল দাওনি।


কেন-রে?
আমি কি তোকে তুষের অনলের মতো এতোটাই জ্বালিয়ে ছিলাম?
আমি কি তোকে কামাড়ের লোহার মতো এতোটাই পুড়িয়েছিলাম?
আমাকে স্মৃতির পাতা থেকে মুছে দিয়ে
ছিড়ে ফেলে দিলে হৃদয়ের ক্যানভাস থেকে।


তোর কি মনে পড়ে?
ভালোবাসার সেইদিন গুলির কথা, খুনসুটির কথা
তোর সাথে দেখা করতে রেললাইনের উপর দিয়ে পনেরো কিঃমিঃ পথ পায়ে হেটে
আবার কখনো অটোরিকশার পেছনে দাড়িয়ে চলে যেতাম
সারাদিনের কথা শেষে বিকালে বাড়ি ফিরে মায়ের বকুনি খেতাম।


আমি তো আজ-ও ভুলতে পারিনি তোকে
আজ-ও শুকায়নি হৃদয়ের সেই ক্ষত,
এই ক্ষতটা ছোট থেকে বিস্তৃতি লাভ করেছে হয়তো কোন এক সময় পুরো হৃদয় হয়ে যাবে।
পরিচর্যা! কে করবে বল?
আমি কি এই হৃদয়ের অধিকার অন্য কাউকে দিয়েছি
এই হৃদয়ের অধিকার তো কেবল তোর, আমৃত্যু পর্যন্ত তোর।


কোন এক ঘন-বর্ষার রাতে
স্মৃতিগুলো যদি ভেসে ফিরে আসে
তাহলে চলে এসো, ফিরে এসে এই হৃদয়ের পরিচর্যা করো।