হেনী বাঁধে চুলে বেণী
বেণী বেঁধে সাপের মতো তুলে ফেনি
শীত যখন লাগে গায়ে
ফানা ফানা জিকির করে পায়ে।
পায়ে আছে শক্তি, গায়েতে চর্বি
আমার সঙ্গে লাগতে এলে অকালে মরবি
গাও তার কাশিপুর,স্বপ্নে যায় মধুপুর
মধুপুরের মধু খেয়ে তরিকতের গান যে যায় গেয়ে।
হেনির সাথে করে বাস
জীবন হলো আমার সর্বনাশ
মরবো আমি ধুঁকে
হেনির দেয়া আঘাত ল’য়ে বুকে।
কবিতার শব্দ চয়নে
কল্পনায় উল্টায় যখন শব্দের ডায়েরি
কানের কাছে হেনি গায় সায়েরি
বিরক্তি এলে মনে, বিবাদ বাঁধে হেনির সনে।
প্রতিটি কবিতা আমার খুকীর মতো
ভালোবাসার রংতুলিতে খুব যত্ন করে সাজাতে হয়
কটুক্তি করলে টুটে হৃদয়, ইচ্ছে করে না হতে সদয়
অন্তর জ্বলেপুড়ে হয় নির্দয়।
যখন ছিলাম মাতাল
হেনির সাথে করেছিলাম আঁতাত
ছুঁড়ে ফেলে পেয়ালা
বাজায় এখন বিরহের বেহালা।
আমাকে তার প্রেমে রাখতে মত্ত
অবৈধ চুক্তিতে হ'য়ে ছিলো আবদ্ধ
খেলতে চেয়ে প্রেম প্রেম খেলা
তন্ত্রেমন্ত্রে ডুবিয়ে দিয়েছিলো মোর জীবন ভেলা।
খাইনি কখনো এমন ঠেলা
পুরো উঠোন জুড়ে বসে ছিলো মানুষের মেলা
দ্যাখতে এসে ছিলো পাগলের খেলা
এমন পাগল পুরো গাঁয়ে ছিলাম আমি একেলা।
তন্ত্রে যদি হতো হৃদয়ের মিল
পৃথিবীতে থাকতো না কভু হৃদয়ে হৃদয়ে গড়মিল
ভাঙতো না সংসার, একে অন্যকে করতো নমস্কার
আটকিয়ে রাখতো ভালোবাসা, জীবন হতোনা পাশা।