আমি ৭১ এর শকুনিদের দেখেছি
কিভাবে ছিঁড়ে খেয়েছে, বিবস্ত্র করেছে নারীদের
নাকে, মুখে ছিলো নখের আঁচড়
বুকে ছিলো বিষাক্ত কামড়ের দাগ
কাপড় ছিলো ছেড়া আর রক্তে ভেজা
চারিদিকে ছিলো রক্তের গন্ধ, লাশ পঁচার দুর্গন্ধ
সমস্ত আকাশ ঢেকে রেখেছিলো শকুনিরা।


আমি ২১ এর শকুনিদের দেখেছি
৭১ আর ২১ এর শকুনিদের মাঝে কোন তফাৎ নেই
একই আঁচড়, একই বিযাক্ত কামড়
ছেড়া কাপড় আর রক্তে ভেজাটাও একই
আজও বাতাসে ভেসে আসে রক্তের গন্ধ, লাশের দুর্গন্ধ
শকুনিদের দ্বারা অবরুদ্ধ আকাশ
পার্থক্য শুধু সময়টার সাত আর দুইয়ের।


৭১ থেকে ২১ বিয়োগ করলে ফল আসে ৫০
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতেও রক্ত
সবুজের বুকের বৃত্তটা লাল রাখতে আর কতো রক্তের প্রয়োজন?
কতো লাশের প্রয়োজন স্বাধীনতার পতাকা উজ্জীবিত রাখতে?
আর কতো ধর্ষিত নারীর, সন্তান হারা মায়ের দীর্ঘশ্বাসের হাওয়া প্রয়োজন, স্বাধীনতার পতাকা দোলাতে?


স্বাধীনতা তোমাকে কখনো পেতে চাইতাম না
পাওয়ার পরেও এতো রক্তের প্রয়োজন হলে
এতো লাশের উপরে তুমি দাঁড়িয়ে থাকতে জেদ ধরলে
সবুজ শ্যামল ঘাস, রাজপথ তাদের রক্তে রঙিন করতে চাইলে
যাদের জন্য তোমাকে ছিনিয়ে আনা হয়েছে।