কাঁপা কাঁপা হাতে, যা লিখি নিশীথরাতে
তা নাকি কবিতা হয়না, ঠাট্টা চলে দোকানপাটে।


নিন্দুকেরা নিন্দা করে ঝড় তুলে সমালোচনার
নিন্দুকের কবল থেকে রেহাই পায়নি কাজী-রবীন্দ্রনাথ।


আমি হলাম গাঁয়ের মানুষ গা ভাসিয়ে চলি
সত্য-ন্যায়ের কথা আমি অনর্গলে বলি।


স্বার্থসিদ্ধিতে ঘটে যদি ব্যাঘাত, শুরু হয় ঠাট্টার করাঘাত
ঘাতে ঘাতে সঞ্চিত হয় শক্তি, এ শক্তিতে মিলে মোর মুক্তি।


স্রস্টার সৃষ্টি নিখুঁত, নিখুঁত সৃষ্টিতে সমালোচক খুঁজে খুঁত
মানুষের কাতার ছাড়িয়ে, সবকিছু মাড়িয়ে হয়েছে নির্বোধ।


আমার লিখা আমি লিখি, কার বাপের কি
মাখতে যাবো না সমালোচক তোদের মাথায় ঘিঁ।


তোদের নিন্দা ছুড়বো না কলম, ছিঁড়বো না খাতা
যেমন ইচ্ছে লিখে ভরাবো পাতা।


সৃষ্টিতে যারা ঝরাতে পারে না বৃষ্টি, চার দেয়ালে আবদ্ধ তাদের দৃষ্টি
তাদের কিঞ্চিৎ আত্মায় আত্মসমালোচনার নাই ঠাঁই।  


তোদের নিন্দায় একদিন নন্দিত হবো, স্পন্দিত হবে তোদের হৃদয়
দাঁত কামড়ে কাটবে ঠোঁট, আবছা ছায়ায় দেখার মতো ভূত।


আমি অদম্য, অনবদ্য-অনিন্দ্য আমার লিখা
তোদের হাসি, মশকরা, ঠাট্টায়-লিখা ভাসবে না খাট্টায়।


আমি অকপটে করি স্বীকার, লিখাই নেই কোন বাহার
এ লিখা মম হৃদয়ের আহার,ক্ষুধ নিবারনের প্রাশন।


আমি কখনো তোমাদের বলিনি আমি কবি
পৃথিবীর বুকে আলো ছড়াবো হয়ে রবি।


আমি অ-কবি, লিখলে মনে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি
আনন্দ চিত্তে খাতার পাতায় বন্দী করি শব্দ।


নিন্দুকের সিন্দুক ভরা নিন্দা, তটিণী ভরা বিদ্রুপ
এ ব্যাধি আঁকড়ে ধরেছে মস্তিষ্ক, বিলীন হচ্ছে অস্তিত্ব।


মম লিখায় না করে বিদ্রুপ, লিখে দেখাও তদ্রূপ
নাহি যদি পার, ঠাট্টা-মশকরা ছাড়ো।


হাতের কব্জি পাথর, তোদের ঠাট্টায় গায়ে মাখি আতর
লাগে না দীলে, ভাসে না ঝিলে, এসো পথ চলি মিলে।


তারিখঃ ২৩/০১/২০২২
বড়মুড়া, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।