কসবার পূর্বাঞ্চলে কিছু মানুষের জন্ম না হলে
আজও ঢেকে রাখতো আঁধার,
প্রদীপ জ্বলতো না প্রতিটি ঘরে
জুয়া, গাঞ্জা, মদ জীবন দিতো পিষে।
খোরশেদ আলম, আলতাব আলীকে এক নামে চিনে
স্মরণ করে পূর্বাঞ্চলের মানুষ ভক্তি ভরা হৃদয়ে
পূর্বাঞ্চলের প্রাণ, মোদের সিনাই গাঙ
বক্ষে আগলে রেখেছেন তাদের স্মৃতি।
হাতে নিয়েছিলেন ওড়া, কোঁদাল
কেটে ছিলেন মাটি, তৈরি করেছিলেন বিস্তৃত এ নদী
কৃষাণ ফিরে পেয়েছিল প্রাণ, গোলায় উঠে এখন সোনালী ধান।
পূর্বাঞ্চলের মানুষ
দেখবে না আর কভু এমন মহা মানব
এখন যারা আছেন অনেকটা-ই দানব।
আবু মেম্বার, নায়েব আলী ছিলেন পূর্বাঞ্চলের রত্ন
খায়ের মেম্বার, কেরামত আলীকে হৃদয়ে রেখেছেন করে যত্ন।
উপরোক্ত মানুষগুলির শিক্ষা ছিলোনা প্রাতিষ্ঠানিক
জ্ঞানের পরিধি ছিলো সীমাহীন, আকাশের মতো বিস্তৃত
হৃদয় ছিলো হিমালয়ের মতো সুউচ্চ
শিক্ষার আলো ছড়াতে, নিজের কেনা জমিতে
স্কুল, মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একাধারে।
পাঁচ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে
কিশোর-কিশোরী লিয়াকত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে যেতো পড়তে
ব্যথিত হয়েছিল যথোচিতদের হৃদয়
প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়।
ঝারু সর্দার, তুরাব আলী, হাশেম, মনিন্দ্রকে
ভুলে যাবে ইতিহাস, ভুলে যাবে এই নষ্ট প্রজন্ম
এঁরা ছিলো এক নক্ষত্র
পূর্বাঞ্চলের আকাশ থেকে ঝরে গেলো ধূমকেতুর মতো
তোমরা ছিলে, আছো এবং রবে মম হৃদয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো।
কাটতে গিয়ে সিনাই গাঙ,চলে যায় আলীম ফকিরের জান
এ প্রজন্ম দিতে চায়না তাদের মান।
সিনাই নদীর জলে ঝরে পড়ে হিজল ফুল
গোধূলি বেলায় লেজ নাচিয়ে গান গায় বুলবুল
গায়ের বঁধুরা দেখতে হয় ব্যাকুল।
ঢোলকলমি লতা মনে করিয়ে দেয় প্রিয়ার কথা
কুয়াশা ভেজা রাতে লুকিয়ে ছিলাম প্রিয়ার সাথে।