লাত্থি মারি সমাজ ব্যবস্থার বুকে
জ্ঞানীরা আজ মরে ধুঁকে
মূর্খের আধিপত্য রন্ধ্রে রন্ধ্রে
এ ব্যবস্থা যেন লিপিবদ্ধ তাদের কর্মে।


মূর্খ মাতব্বরদের রোষানলে
জ্ঞানীর কলমে আজ ঘুনে ধরে
ইচ্ছে মতো লিখে আইন
স্বার্থবাজরা বলে এ আইন খুব ফাইন।


আঙুল ফোলে কলাগাছ
পুরো সমাজ নাচছে নাচ
দু চার পয়সা করে খরচা
পুরো সমাজ করে নিচ্ছে কব্জা।


তোতাপাখির মতো শেখায় বুলি
পয়সার লোভে শেখে
হৃদয় থেকে ভালোবেসে
ঘুরছে না কেউ তার পিছে।


মুখ ফুটিয়ে বললে সত্য
সভ্য সমাজের অসভ্য
এমন গালি দিচ্ছে যে আজ
গালি হচ্ছে গালি খোরের মাথার তাজ।


ভদ্র সমাজ ঘুরে পয়সা ওয়ালার পিছে
এ একদম খাঁটি, নইকো মিছে
দ্যাখেছি দু'চক্ষু ভরে
মূর্খ এখন সমাজের কলকাঠি নাড়ে।


শিক্ষিত লোকের নেইকো দাম
শিক্ষিতদের হেয় করা মূর্খদের কাম
কথায় কথায় ব'লে,
চিনা-লোংগার বিলে এমন সার্টিফিকেট অহরহ মিলে।


টেনেটুনে পেরিয়ে ছিলাম স্কুলের গন্ডি
এ যেন লাগলো মোর কপালে দন্ডি
শিখেছিলাম সত্যকে সত্য, মিথ্যেকে মিথ্যে বলা
সেই থেকে শুরু হলো ভিন্ন পথে পথ চলা।


লাত্থি মারি সমাজ ব্যবস্থার মেরুদণ্ডে
গুণীজনকে লাঞ্ছিত করে মূর্খকে করে সম্মানিত
সৎপথে উপার্জনকারীকে অসভ্য, অসৎপথে উপার্জনকারীকে সভ্য
তাদের কাছে এ সমাজ নির্মল অবিচ্ছেদ্য।