নাজমিন তুমি কোথায় এবং কেমন আছ?
একবারও জানতে সাধ জাগেনা মোর।
তুমি যে কাজটি মোর সাথে করেছ কিংবা করিয়াছ
তা কোন মানবীর কাজ নয়।


কতিপয় মানব রূপী দানব কিংবা দানবী
যেইদিন তোমার বিবেক আর মনুষত্বকে বিলুপ্ত করে
তাদের দৈব শক্তিদ্বারা তোমার চক্ষু দৃষ্টিকে অন্ধ করে দিয়েছিল
আমার মনেহয় তুমি আজও সেই অন্ধই আছ।


বিভোর ঘুমে যখন নতুন করে জীবন সাজানোর
স্বপ্ন রাজ্যে তুমি প্রবেশ কর, আমি জানি
তখন আমার স্মৃতিগুলো তোমাকে বিভোর ঘুম থেকে জাগ্রত করেনি
তোমার সম্মুখে এগিয়ে যাওয়ার পথে
মোর ঐ মৃত স্মৃতিগুলো পেছন থেকে তোমাকে
কখনো ধাওয়া করেনি আর করবেও না।


নাজমিন, তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছ
আমাকে এবং আমার স্মৃতিগুলোকে ভুলে গিয়েছ
তাতে আমি দুঃখিত কিংবা অনুতপ্ত নয়।
তুমি কি সত্যি নারী?


আমার মনে হয় তুমি নারীরূপ ধারণকারী এক দানবী
তোমার গর্ভ থেকে পৃথিবীতে আসা আমার সন্তান
যাকে তুমি দুই থেকে তিন মাস বয়সে
তোমার বুকের দুগ্ধপান থেকে বঞ্চিত করে
বঞ্চিত করেছ ঐ শিশুটির মায়ের আদর, স্নেহ এবং ভালবাসা থেকে।


আমি শিঙ্গাপুরের গেলাং শহর থেকে যখন
মাঝেমাঝে মাঝরাতে ঐ শিশুটির আত্মচিৎকার শুনতে পাই
তখন বিভোর ঘুম থেকে দু’হাত দিয়ে বিছানার দু’পাশে হাতাই
কিছু নেই শুধু শূন্য বিছানাটা ছাড়া।
তবে তুমি যেখানেই থাক, যেভাবেই থাক ভাল এবং সুখে থেক
আমি আর আমার মেয়ে কখনোই তোমার সুখের পথ রুদ্ধ করে দাড়াবো না।    


নাজমিন তোমার মনে আছে কি না জানিনা
ত্রিশ দিনের আত-ইয়া-ইসলাম স্মৃতিকে নিয়ে যখন
তুমি তোমার বাপের বাড়ি গিয়েছিলে
মুঠোফোনে অনেক কথাকাটি শেষে
গোধলী লগ্ন, পূর্ব আকাশের সূর্য পশ্চিমাকাশে ডুবন্ত প্রায়
বাঁশঝাড়ে নানান পাখির কিচির মিচির শব্দ
ঠিক তখনই বলেছিলাম তোমায়
খোদার শক্তি ছাড়া, পৃথিবীর বুকে এমন কোন দৈব শক্তি নেই
যে, আমার সন্তানকে তার পিতার আদর, স্নেহ ও ভালবাসা থেকে দুরে সরিয়ে রাখে।