ঘুমের ঘোরে দিলাম পাড়ি
উঠলাম গিয়ে আল্লার বাড়ি
হৈ-হুল্লোড় পাড়াপাড়ি,তা নিয়ে বাড়াবাড়ি
নামাজের দায়িত্ব সভাপতির উপর ছাড়ি
ঈদের ছুটি কাটাতে ইমাম সাব যাবে বাড়ি।


সভাপতি উঠলেন জ্বলে, বললেন ভরা মজলিসে
সূরা কিরাআত পারি না, ইমামতির আউবাউ বুঝিনা
চোখমুখ লাল, কাটলো বুঝি খাল, বড়বড় ফাল
দ্যাখছি তোমায় কাল, দ্যাখোনি সভাপতির ঝাল।


ইমাম সাব বললেন হেঁসে,
আপনি পারেননি তাতে কি হ'য়েছে
সেক্রেটারি সাব যেহেতু উপস্থিত আছে
নামাজের দায়িত্ব দিতে পারি তার কাছে।


সেক্রেটারি সাব আরো চেতা, অত্র এলাকার নেতা
দ্যাখেন নি মিয়া অসুস্থতায় ভোগী
জুম্মার নামাজ ছাড়া সর্ব নামাজ ছাড়ি।
রাখতে পারি না রোজা, মনে হয় এ এক বোঝা
বাড়তে থাকে গ্যাস্ট্রিক পেপটিক আলসারের ব্যাথা
বুকের মাঝে কে জানি মারে এক যাঁতা।


ইমাম সাব বললেন হেঁসে
এই দুনিয়ার পুরোটাই মিছে
গীবত করবেন না কেউ আমার পিছে
দ্যাখি এবার কোষাধ্যক্ষের কাছে গিয়ে।


আগা থেকে গোড়া শুনলেন তো সব
আপনার মুখে দ্যান এবার জব
নামাজের দায়িত্ব আপনার উপর ছাড়ি
ঈদের ছুটিতে বাড়ির পথে দিতে পারি কি পাড়ি?


কোষাধ্যক্ষ দাঁড়িয়ে বললেন ইমাম সাব'কে
ঈদের ছুটি কাটাতে বাড়ি যাবেন সে-তো খুশির কথা
ইমামতি নিয়ে ভাববেন না আমি আছি সর্বদা।
খালি রাখবো না মিম্বর, পাঁচ ওয়াক্ত থেকে জুমার খুৎবা
সর্ব বিষয়ে আছে গুরুর শিক্ষা।


কোষাধ্যক্ষের মুখে শুনে এমন কথা
বিলীন হ'য়ে গেলো ইমাম সাবের মনের ব্যাথা
মসজিদ কমিটিতে এমন লোক চাই
ইমাম সাবের অনুপস্থিতিতে যেন মিম্বর ফাঁকা নাহি যায়।


এমন মসজিদও আছে ভবে
ইমাম সাবের অনুপস্থিতিতে আযানের ধ্বনি নাহি ভাসে
মসজিদ কমিটির থাকেনা ইসলামীক জ্ঞান
মিম্বর থাকে ফাঁকা শয়তানের লেনদেন।