আমি এক রাতে নিঃস্তব্ধ শহরের রেললাইনের পাশ দিয়ে আনমনে হাঁটতে হাঁটতে যৌবনবতী গোন্ডলিফ সিগারেট টানতে ছিলাম
হঠাৎ কে যেন পেছন থেকে শার্টের কলার চেপে ধরে রেললাইনের উপর বসাতে চাচ্ছিল
থতমত খেয়ে গেলাম, ভিতরটা কম্পিত হচ্ছিল
কোন ভূত, ডাকাত কিংবা পতিতা নয়তো।
যখন ছয়-তিন নয় ভাবছিলাম তখন করুণ কণ্ঠে আকুতির স্বরে বললো "আমি গণতন্ত্র"
চেয়ে দ্যাখি কি বেহাল অবস্থা, জরাজীর্ণ দেহ, হাতে পায়ে শিকল বেড়ী লাগানো
চোখ দু'টি গর্তের ভিতরে, মনে হলো কয়েক বছরের উপোস, পেটে দানাপানি কিচ্ছু পরেনি।
নিস্তব্ধ চারপাশ, কেউ নেই আশেপাশে,  ঘুমিয়ে পড়েছে ব্যস্ত শহর, ঘুমিয়ে পড়েছে বস্তির নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষগুলো
বাসস্থান হীন মানুষগুলো এই খোলা আকাশকে ছাঁদ আর রেললাইনকে বানিয়েছে বালিশ।
গণতন্ত্র অভিযোগের ঝুলি খোলে দিলো, দ্রোহের রক্ত সঞ্চালন করে দিলো শিরা-উপশিরায়
কখন যে ভোর হয়ে এলো, সূর্য উদিত হলো পুব আকাশে।
গণতন্ত্রের কণ্ঠনালীতে আঁটকে থাকা স্বৈরতন্ত্রের
শিকড় বাকড় সহ আমি উপড়ে ফেলবো
ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবো সাধারণ মানুষের।
আমি আবার রাজপথে নেমে নেতৃত্ব দেবো
হিংস্র থাবা বসিয়ে দেবো গণতন্ত্র খেঁকোদের বুকে
রাজনীতির পেয়ালার স্বৈরতন্ত্রের শরাব এক চুমুকে পান করে গণতন্ত্রের শরাব ঢেলে উন্মুক্ত করে দেব আঠারো কোটি মানুষের তরে।
বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিবো রাজপথে
লাল রক্তে রাঙিয়ে দেবো মানচিত্র, পতাকা, সবুজ ঘাস
শকুনিদের উদর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনবো গণতন্ত্র।
আমি অর্ধনগ্ন হয়ে শাহবাগের মোড়ে দাড়িয়ে স্লোগান দেবো, কম্পিত হবে স্বৈরতন্ত্রের ভীত, ভস্মীভূত হবে স্বৈরতন্ত্র নামের ইমারত
আমি আশা জাগাবো প্রতিটি নিরীহ মানুষের হৃদয়ে।