কার জন্যে কাঁদছো হৃদয়?
ওঁরা তো মানুষ না, ফানুস
ওদের জন্য ব্যথিত হয়োনা
প্রয়োজনে ব্যবহার করবে তোমায়।
ওঁরা আজ হিংস্রতার উর্ধ্বে --
স্বার্থের জন্য কখন ছুরি বসিয়ে দিবে
তা তোমার কল্পনাতীত --
কেঁদোনা কেঁদোনা --
শান্ত নারী কিংবা নদীর মতো শান্ত হয়ে যাও।
ন্যাকামি কান্না না করে ইতিহাস খোল
স্বার্থের জন্য ওঁরা হত্যা করেছে --
যীশু,ইমাম হোসেন, সক্রেটিস, সিরাজুদ্দৌলাকে --
মীর জাফর থেকেও ওঁরা ভয়ংকর --
সীমার থেকে নিষ্ঠুর, নির্দয়, নির্মম --
উপেক্ষা করো ওঁদের মন্ত্রমুগ্ধ বন্ধুত্বের আহবান।
আমি অনেক হারামিকে দ্যাখেছি --
যে তৈজসপত্রে খাবার খেয়েছে --
সেই তৈজসপত্রে-ই বমি করতে --
পেছন থেকে বিশ্বাসঘাতকতার ছুরি মারতে।
তারা তাদের প্রয়োজনে প্রিয়জন বানাবে
কফি হাউজে বসিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ কথা শোনাবে --
প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে --
তোমার পশ্চাতে সজোরে লাত্থি মারবে ।
একলা চলো --
পথিমধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে গেলে --
মৃত্তিকায় ভর দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে আবার চলো --
তারপরও একলা চলো, একলা চলতে শিখো।
যাঁদেরকে তুমি মানুষ দ্যাখছো --
ওঁরা মানুষের রূপ ধারণকারী শিম্পাঞ্জি --
ওঁদের মনুষ্যত্ব, বিবেক, হৃদয় বলতে কিচ্ছু নেই
ওঁরা ওঁদের প্রয়োজনে তোমায় কাছে টানবে --
আহার করাবে দুগ্ধ গাভীর মতো।
ওরে বোকা মন --
এতো ভালো হতে যাসনে --
এতো ভালোবাসতে চাসনে --
তোকে একদিন পুড়তে হবে চিতার আগুনে --
দগ্ধ হৃদয়ের গন্ধ পাবি আগুন লাগা ফাগুনে।