প্রবাসে যারা থাকেন
তারা সব সময় ভালোই থাকেন
অসুখ নামের কীড়ে তাদের কখনো স্পর্শ করেনা।


প্রবাসীদের ক্ষিধে লাগেনা, ক্লান্তি আসেনা
কাজের ফাঁকে ডিমে ওম দেয়া মুরগির মতো ঝিমুনি আসেনা
দেহের ভিতরের বৈদ্যুতিক তারগুলোতে ইলেকট্রিক শক লাগেনা।


এঁরা তো মানুষ না আবার দেবতাও না
এঁরা অত্যাধুনিক যন্তর, মেশিন
এদের কোন ঈদ নেই, পুজো নেই, আনন্দ নেই।


প্রবাসে যাঁরা থাকেন
তারা সব সময় ভালোই থাকেন
তাঁদের সৃষ্টি করা হ'য়েছে রোবট হিসেবে অন্যকে ভালো রাখার জন্য।


প্রবাসীরা কাঁদতে পারেন না
আঘাত পাবার মতো হৃৎপিণ্ড তাদের দেহে নেই
চোখের ভিতরে সাগর নেই জলধারা প্রবাহ হবার জন্য।


এরা ল্যাম্পপোস্টের লাইট কিংবা মোমবাতির সুতোর মতো
এদের কোন কল্পনা নেই,আবেগ নেই,অনুভূতি নেই
এঁদের গায়ে তপ্ত রোদে শীতল ছায়ার প্রয়োজন পড়ে না।


এঁদের ইচ্ছে নেই, সাধ নেই, বাসনা নেই
হৃৎপিণ্ড নেই তাই হৃৎপিণ্ডের ক্ষুধা নিবারণের প্রয়োজন হয়না
যৌবনের তাড়া নেই, নেই কামের আস্ফালন।


প্রবাসে যাঁরা থাকেন
তারা সব সময় ভালোই থাকেন
এঁদের পুংজননেন্দ্রি় নেই, ক্ষুধা নেই, তৃষ্ণা নেই।


তারা মেশিন, নির্বিঘ্নে বিশ্রাম হীন, ক্লান্তিহীন খাটে
ডালপালা হ'য়ে রুখে ঝড়, তপ্ত রোদের তাপ
পড়তে দেয়না সংসারে দারিদ্র্য নামের শকুনির ছাপ।


১৭-০৫-২০২২ সৌদি আরব