আম পাতা জোড়া-জোড়া
মারবো চাবুক চড়বো ঘোড়া
এমন কবিতা আমি মিলাতে পারিনা উরাধুরা
ভাবতে ভাবতে হ'য়ে যাবো বুড়া।


সিদ্ধির কল্কিতে মেরে টান
সমতল ভূমি দ্যাখে ঢেউখেলান।
পায়ের তলায় দ্যাখে বিস্তৃত গাঙ
কথাবার্তা মনে হয় একমাত্র তিনিই মহান।


এক কলঙ্কিতে হাজার টান হাত ঘুরিয়ে মারে
সমাজের কলকাঠি মাঝেমাঝে নাড়ে
রাতের আঁধারে পথিকের পকেট ঝারে
দায় সারিয়ে এড়িয়ে যায় গোষ্ঠীর ভারে।


সিদ্ধিতে বাড়ে বুদ্ধি হাঁটু থেকে মাথা অব্দি
শুদ্ধাভিজান চালিয়ে হতে চায় শুদ্ধি।
মাথায় কুঁকড়ানো লম্বা লম্বা চুল
হাত উঁচিয়ে ব'লে তাদের নাকি হয়না কভু ভুল।


গ্রাম্য শালিসিতে থাকেন সবার আগে
অন্যের কাঁধে দায় চাপিয়ে শালিস ছেড়ে ভাগে।
মসজিদের সাথে নেই কোন লেনদেন
মুসল্লীকে জান্নাত থেকে বের করে জাহান্নামে দেন।


সিদ্ধি খোর সিদ্ধি না খেলে, গায়ে-গতরে পায়না জোর
পেটের মলমূত্র হয়না দূর, উদয় হয়না সতেজ ভোর।
বাম হাতের চিপায় আটকিয়ে কল্কি চেপে ধরে ডান হাত
চোখ মুদিয়া মারিলে টান গাল যায় তার দুইহাত।


বাবার নামে টানে সিদ্ধি, দমিয়ে রাখে মনের কু-প্রবৃত্তি
ঝট বাঁধা চুলে শয়তান বেঁধে রাখে বটগাছের মূলে।
আম পাতা জোড়া-জোড়া, লিখেছি আমি থোড়া-থোড়া
হাসবেন না কেউ উরাধুরা, মানবেন না কেউ বুরা।