দেশে নাকি নেই ফকির-মিসকীন
মাথায় হাতে কাশেম ভাই ভাবছে রাতদিন
কাকে দিবে যাকাত, সবাই তো এখন ডাকাত
গরীব নেই, ভিক্ষুক নেই দ্যাখেছে খবরের পাতাত।


ঢাকা শহরের কাজ শেষে রাতের ট্রেনে ফিরবে বাসা
কমলাপুর স্টেশনে গিয়েছিলেন বুকে ল’য়ে এক বুক আশা
মানুষের উপর মানুষ ঘুমায়, সাথে ঘুমায় কুকুর
কে কুকুর, কে মানুষ চেনা বড় দায়, দায় সারাতে খবরের কাগজে আজব গুঁজি ছাপায়।


কুরআন খুলে পড়ছিলেন সূরা আত্-তাওবা
ষাট নাম্বার আয়াতে পেলেন যাকাত বন্টনের খাত
কাশেম ভাই ব'লে কাজের কাজ হলো রাত জেগে
অতিসহজেই পেয়ে গেলাম যাকাত বন্টনের আটটি খাত।


ফকীর হলো সেই যার নিসাব পরিমাণ সম্পদ নেই
প্রথম খাতে পাবে যাকাত, যদিও থাকে একবেলা কিংবা একদিনের আহার।


দ্বিতীয় খাতে পাবে সেই লোক যার পেটে অনেক ভুখ
লাজলজ্জা চাইতে পারেনা একবেলা আহার
বাহ্যিকভাবে যদিও হয় সচ্ছ, সেই মিসকীন করিওনা তুচ্ছ।


যে ব্যক্তি যাকাত আদায়, হেফাযত, বণ্টনে নিয়োজিত
তৃতীয় খাতে সেই ব্যক্তি যাকাত পাবার উপযুক্ত।


যাকাতের চতুর্থ খাত "মুআল্লাফাতুল কুলুব"
ব্যয় করো দুঃস্থ নওমুসলিমের চিত্ত করতে জয়
যেন দূর হয় হৃদয়ের সকল ভয়।


ক্রীতদাস-দাসী,বন্দী মুক্তিতে
পঞ্চম খাত করো ব্যয় দ্যাখিয়েছে যুক্তিতে।


ঋণগ্রস্থের ঋণের বোঝা করতে দূর
কোরআনে দিয়েছেন ষষ্ঠখাতে সদুত্তর।
ঋণ পরিশোধে সমপরিমাণ সম্পদ যদি নাহি থাকে
ঋণের বোঝা লাঘবে যাকাতের অর্থ দেয়া যাবে।


সম্বলহীন মুজাহিদের যুদ্ধাস্ত্র, সরঞ্জাম ক্রয়ে
নিঃস্ব, অসহায় গরীব দ্বীনি শিক্ষার্থীকে করতে প্রদান
সপ্তম খাতে বলিয়াছেন আল্লাহ মহান।


অসহায় মুসাফির যদি হয় কষ্টে নিপতিত
মৌলিক চাহিদা পুরণে ফিরে আসতে পারে নীড়ে
এমন পরিমাণ অর্থ যাকাত থেকে করতে প্রদান
অষ্টম খাতে বলিয়াছেন আল্লাহ, খুলে দ্যাখো সূরা আত্-তাওবা।