মিনু রানী বালা, অষ্টোদশী কিশোরী ।
দুই বেণী দুলিয়ে চলতো স্বাধীন সীমান্তে ,
অভাব, অনটন , অস্বচ্ছলতা, চোখ খুলে দ্যাখা
অদম্য ইচ্ছা, সংসারকে সাহায্য করা
দুরু দুরু বুকে মৃদু পায়ে মায়ের হাত ধরে
উপস্থিত শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বসের কক্ষে
মাঃ বিনুবালার আকুতি, স্যার............
"আমার মাইয়াটারে একটা কাম দেন",
কচি হাতে উঠে আসে সোঁনামুখি-সুঁই
প্রথম দিনেই বুতামের ঘর বানাতে সুঁই ফুটে
বেরিয়ে আসে রক্ত... কিশোরীর স্বচ্ছ রক্ত !!!
প্রান ফিরে পায় দেশের অর্থনীতির চাকা
মালিকের বিলাস বহুল গাড়ীতে সংযোজিত হয় তেল হিসেবে
দিন যায় রাত আসে, সময় চলে দ্রুতার সাথে ।
সতের বসন্তে পা রাখলো মিনু বালা
চোখে স্বপ্ন .....................ভালবাসা
হাইড্রলিক সেলাইয়ের মেশিনটি নিয়ে
যার সাথে সম্পর্ক ষোল ঘণ্টা .....
আকস্মিক ভবন দুলে উঠে
দৌড় , ঝাঁপ , চিৎকার ,
নিথর দেহ
বুকের উপর চেপে আছে হাইড্রলিক মেশিন
মৃত্যুও পারেনি তাদের বিচ্ছিন্ন করতে............।