জ্বী আমি ছোটলোক -
আস্ত এক ছোটলোক ।
অজপাড়ার চাষাভূষা।
না ঐ কোট টাই আমার জন্য না ,
রংচটা জিন্স পাঞ্জাবি  সেন্ডেল,
ব্যাস।
এ ভাবেই বেস যাচ্ছে দিন,
যাক না!
সরি মাফ করো  ...
আমায় যা ইচ্ছে বলো..
কিন্তু পথের ধারের ঐ ফুলগুলোকে
বলতে যেওনা, তখন আমার লাগে,
বড্ড বেশী লাগে ।
ইচ্ছে করে জুতো মারি ভদ্দলোকের গালে,
ডোবার পচা জলে চুবিয়ে দেই - হুম।
কি?  পাগল আমি?
হ্যাঁ তাই।
আধুনিকতা কিম্বা ধার্মিকতায়
যে শরীরে পারফিউমের উগ্রতা,
হাজার টাকার হাই হিল যখন -
উষ্ঠা দিয়ে যায় পথের ঘুমটাকে,
তখন আমার সত্যি পাগল হতে ইচ্ছে করে।
ইচ্ছে করে -
বিবস্ত্র হয়ে ওদের ধর্ম কে
আমার পুরুষাঙ্গ দেখিয়ে দেই।
চিৎকার দিয়ে বলি -
তরে চুদি আমি।
খুব নোংরা হলো ?
ইতর ভাবছো,  তাই না?
ঘেন্না হচ্ছে?
করো ঘেন্না করো!
যত পারো ঘেন্না করো,
আমার কিচ্ছু যায় আসে না।
পাগলীটা যখন মা হলো,
মা যখন ধর্ষিত হলো সন্তানের সামনে,
আবার সন্তান নিয়ে যখন
সহমরণ নিলো বাবা,
তখন কোথায় ছিল তোমাদের ঘৃণা ?
কোথায় ছিল লজ্জা?
কই একটিবারের জন্যেওতো
হরতাল হলোনা?
বিশ্ববিদ্যালয়েও ক্লাস বর্জন হলোনা?
সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ হলোনা?
শাহবাগে মানববন্ধন হলোনা?
বরং উৎসব হলো।
রাষ্ট্রের দরদে ক্ষমা পেলো
দেশের শীর্ষ হায়না।
দাত কেলিয়ে ফুর্তি হলো,
সংসদ ভবনের মত গরুর খোয়ারেও -
সেদিন সরস্বতীর পূজো হলো -
লক্ষী মাকে ফেলে।
লজ্জাটা কার থাকার দরকার?
ঘেন্নাটা কার জন্য?
আমার না তোমার ?
[ঘামের স্রোত ]