বন্ধুগণ,
এখন না হয় আমিই লিখলাম
তোমাদের জন্য, তোমাদের কবিতা গুলো।
জীবন এভাবে কেটে যাবে
হাসি, দুঃখ, ভাল, মন্দ নিয়ে,
দেখা হবে কোথাও হয়তোবা না।


প্রত্যাশা গুলোকে আস্তে আস্তে ঝেড়ে ফেলে, একদিন আমরা ঠিকই বড় হয়ে উঠব।
তখন হ্রদয় হবে বিশাল, সাগরের মত
নেই কোন বাধা, কোন কিছুই বেধে রাখতে পারবে না আমাদের।


তখন আমাদের মাঝে সমস্ত দেয়াল ভেঙ্গে যাবে।
স্বর্গের প্রেম-কামকে পিছনে ফেলে,
আমরাও নিয়ে আসব ব্রহ্ম লোকের বিশুদ্ধ প্রেম।
তখন আমাদের আড্ডার আসর আবার জমে উঠবে।।


ততক্ষণ পর্যন্ত আমি কবিতা লিখে যাব।
তোমাদের জন্য, তোমাদের কবিতা গুলো।
জীবনের উত্থান-পতনে অটল-অনড় থাকার কবিতা।


জীবন হয়তোবা এভাবে কেটে যাবে।
দেখা এবং অদেখা এর মাঝখানে,
বাস্তবতা এবং স্বপ্নের মধ্যে সেতু তৈরি করতে করতে।


বন্ধুগন মনে রেখো,
যখন দেখা হবে তখন মুখে থাকবে হাসি
প্রত্যেক মুহুর্ত হবে দামি
যেভাবে মনের গহীনে কিছু মুহুর্ত সাজিয়ে রাখি ।


থাকবে না কোন সংকীর্ণতা,
যে সংকীর্ণতা থামিয়ে দেয় আগ বাড়িয়ে কথা বলাকে,
যে  সংকীর্ণতা হিসেব করে 'চাহিদার',
যে সংকীর্ণতা হিসেব করে 'শ্রেণীর',
যে সংকীর্ণতা হিসেব করে বন্ধুত্বের সংজ্ঞাকে।
থাকবেনা কোন জড়তা, থাকবেনা কোন লোকভয়,
ব্যবহার হবে মৈত্রীময়।


এ আমাদের দুর্বলতা নয়
এ আমাদের শক্তি।


বন্ধুগণ মনে রেখো,
আমরাও নিয়ে আসব একদিন
রুদ্রের প্রত্যাশার প্রতিশ্রুতি।