আমাদের ধমনীতে বুদ্ধের রক্ত নেই।
কারণ তাদের সকল উত্তর সূরী বৈরাগী।
তাদের জিনোম সিকোয়েন্স আমাদের সাথে মিশতে পারেনি।
কেবল তাদের স্মরনোৎসবের ফ্যাশন চলে,
বিশেষ দিনে বাঙালির পান্তা ইলিশ খাওয়ার মত।
এখানে বয়ে গেছে চেঙ্গিস কিংবা খিলজীর রক্ত,
অথবা তিলে তিলে শেষ হওয়া নেটিভ আমেরিকানদের রক্ত।


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অভিযোজন করে টিকে আছি।
কিন্তু অনেকের কাছে এ বাঁচা তেলাপোকার বাঁচা।
তাই বিপ্লবীরা বিদ্রোহের ডাক দেয় অসময়ে।
তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা ভেঙে পড়ে।
অসময় সময় হয়ে ফিরে আসে ধীরে।


এভাবে ধরিত্রী চলে।
শিরার রক্ত বিশুদ্ধ হয় ফুসফুসে এসে।
মাঝে মাঝে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়।
তখন গাছ লাগাতে হয়।


কাল মার্ক্স বলেছিলেন, পৃথিবীতে টাকা বলতে কিছু নেই,
সব শ্রমের বিনিময়, শ্রম দ্বারা চলছে এই পৃথিবী।
আমি নিজের দিকে তাকায়।
বস্তু আর ভাব মিশে একটি অস্থির জটিল জৈব যৌগ তৈরি হয়েছে।
জীবন আমাদের কাছে অস্পষ্ট।
মস্তিষ্কের নিউরন গুলো দূষিত হয়ে গেছে।
কিছু জিনোম সিকোয়েন্স ভেঙে দিতে হবে।