আমি কবিতা লিখতে জানি না।
লিখতেও পারি না।
শুধু মনের ভাব প্রকাশ করি মাত্র।


তবে এটাও জানি,
তুমিও কবিতা পড়তে জান না।
কবিতা পড় না।
শুধু কিছু জিনিস খুঁজে বেরাও।


আমার কবিতায়
তোমার কি জিনিসই বা থাকবে।।
সে ত আমারই কবিতা ।


তাহলে কবিতা কি জন্য লেখা হয়?
জীবন উপলব্ধির জন্য?


হয়তোবা তাই।


আবার একটা কবিতা নিয়ে হয়তোবা,
সব জীবন অনুভূতি ব্যাখা করা যায় না।


তাই সৃষ্টি হয়েছে মহাকাব্যের,
সৃষ্টি হয়েছে নাটকের,
সৃষ্টি হয়েছে উপন্যাসের।


তাইত 'মেঘনাদবধ' মহাকাব্যকে
একটা কবিতার অনুভূতি  দিয়ে
শেষ করা হয়নি।


অথবা এক লাইনে বলা হয়নি,
'" বেদনা আমারও আছে। "


তাইত 'কবর' নাটক কে,
এক লাইনে বলা হয়নি,
" আমাদের অধিকার কই?"


তাইত শত শত উপন্যাসকে
এক লাইনে বলা হয়নি,
" আমিও ভালবাসতে জানি,
আমার মত করে। "


হুমায়ুন আহমেদ হিমুকে এক লাইন দিয়ে বলেনি , " বেশ ভুষায় সে সাধারণ, অন্তর তার বৈরাগী। "


এমন কি কোন কবিতা আছে?
যা দিয়ে, সব কবিতা কে বোঝানো যায়?


যে কোনো রচনা মাত্রই জীবন অনুভূতি।
সেখানে মিল-অমিল থাকবেই।


তারপরও মিল রয়েছে আমাদের,
একটা জায়গায়।
ব্যক্তিগত কবিতায়, 'গ্রহন এবং ত্যাগে'।


সমস্ত কবিতা, এই গ্রহন এবং ত্যাগের
মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে।


সব কবিতায় আমি তা খুঁজে পায়।


# এবার রুপকতা ভাঙতে, 'কবিতা' শব্দটির জায়গায়, 'জীবন' বসিয়ে আরো একবার পড়ে দেখুন।