এ অনিশ্চয়তা নতুন নয়।
নতুন নয় এ দিক হীনতা।


শৃঙ্খল ভাঙ্গার অলসতা
ঘিরে ধরে আমাকে।
জানি আমার ভিতর রয়ে গেছে
এক আদিম মানব এখনো।
হিংস্রতার ছাপ এখনো যায়নি কেটে।
জানি ফেরার সময় হল
তবুও কিছু কাজ বাকি।
চাহিদা গুলোকে চিন্তা দ্বারা সমাপ্ত করেছি।
উপলব্দিকে কিসে করি বলো?
এ ত এক যাত্রা,
নির্ভর করছে আমার উপর।
আমি সুশীতল কোন গাছের নিচে
বসে আছি শেষ গন্তব্য ভেবে।
তুমিও খুঁজে চলেছ আমাকে,জীবনকে,
তোমার মত করে।
পরিশেষে খুঁজে পাওয়ার পর বলবে নাতো?
আমি তুমি কেউ ছিলাম না জগতে,
ছিল শুধু উপলব্দির প্রতিক্রিয়া।
যে উপলব্ধি নিজেদের দ্বারাই তৈরি,
আবার নিজেদের দ্বারাই বিনাশ হয়।
আজ এখানে এসে সেই সব তাণ্ডব লীলা দেখছি।


দূর থেকে দেখতে পায় আজ,
অনেকে হেটে আসছে এদিকে।
আর কেউ কেউ বসে আছে
সুশীতল কোন বৃক্ষের নিচে,
নিজেদের অন্তিম গন্তব্য ভেবে৷
হয়তোবা এও আমার উপলব্ধির প্রতিক্রিয়া।
হয়তোবা তারাও পৌঁছে গেছে,
তাদের উপলব্দির সীমা টেনেছে।
তবে এত ফারাক কেন?


তবে যাই হোক, প্রেম-ভালোবাসা এই শব্দ গুলো হারিয়ে গেলেও,
ভাব গুলো যাতে না হারায়।
সেই ভাব অন্য কোন শব্দে হলেও প্রবেশ করুক।
কেননা শব্দ ত কেবলই শব্দ।
তার মূল্য অর্থে, ভাবে।
হয়তোবা এও আমার উপলব্ধির প্রতিক্রিয়া।


জীবন মানে উপলব্দি।
উপলব্দির প্রতিক্রিয়া মন এবং শরীরের।
হয়তোবা এও আমার উপলব্ধির প্রতিক্রিয়া।


এভাবে কত প্রতিক্রিয়া গেঁথে আছে মনে।
এভাবে কতকাল গেছে বয়ে।
তবুও হল না মিলন।
কিছু প্রতিক্রিয়া রয়ে যায় অপ্রকাশিত।