তোমার কাছে আমার অযথা মিনতি
ফেনিল তরঙ্গে প্রজ্বলিত মন
অনাহুত কটুক্তির দ্বন্ধে
বিষ্ময়ে আজ আমি নির্বাক ।
জ্বলে যাক কলিজ্বার বিষুবরেখা
বয়ে যাক নয়নে লোনা জলের নহর,
বিস্ফোরিত হউক কলিজ্বা পোড়া ধোঁয়ায়িত বাষ্প ।


দুষ্ট কপোতের ছায়া পড়া,ঐ মনের আঙ্গিনায়
ভিখারী সাজার ইচ্ছে আর নেই ।
আমি চলে গেলাম ত্রিমাত্রিক প্রেমহীন বিস্মৃতির অন্তরালে,
যেখানে নীরবতরা নিত্য খেলা করে।


প্রযুক্তির যুগের কারণে  হয়তো দেখবে আমায়,
একজন নীরব মুর্তি হিসাবে।ঐ নষ্ট প্রেমের মোহ কেটে গেলে,
আমার স্মৃতি তোমাকে কড়া নাড়বে,তাই হয়তো ,খুজবে,দেখবে,
অচেতন জীবন্ত লাশ তখন সাড়া কি আর দেবে ?


নষ্ট প্রেমের প্রতিবাদে,আমি তখন নীরব নীথর,
একটা জীবন্ত লাশ ।
তবু চেষ্টা করে যাই অসহায় মনের নীরব কান্না থামাতে,
দেখবে খুব শীঘ্রই থেমে যাবে ।
তখন বুঝতে পারবে,
এ ভিখারী মন তোমার নষ্ট মনের ঘুণেধরা দরজায়
আর কড়া নাড়ছে না ।


ঈষৎ হেসে হয়তো বলবে,মুক্তি পেলাম এবার,
হা আমি তা চাই,আর তা চাই বলে--
নব সজ্জায় লীলা নিকেতনে আমার কড়া নাড়া
তোমার মধু বাসরে সুখের হানি ঘটুক,
তাতো আমি হতে দিতে পারিনা ।


আমার নিচ্ছিদ্র ভালোবাসা শুন্যতায় ভরা
শয্যার কষ্টগুলি আমি সময়ের কাছে জমা রাখিলাম ।


মনের যুদ্ধের দামামায় অগোছালো উসকো খুশকো চুল
পাগলীনীর বেশে,উদ্বিগ্ন হয়ে নীলাব আকাশে যখন নীল খুঁজবে,
ঠিক তখনিই সময় তোমাকে জবাব দেবে ।


যাকে বা যাদেরকে আপন করে আমায় করিলে পর,
শুনতে পাবে দুর থেকে তাদের হাততালি ।
তবু আমি আসিবো না আর ফিরে ,
তোমার ঐ নগ্ন নীড়ে আপন আত্মা করিতে বলিদান,


আমার এ  লিখনী পড়ে হয়তো কুৎসীত আনন্দ পাচ্ছো,
স্বার্থক আমি আনন্দতো দিলাম।
তবু আমি বাঁচতে চাই সেই হাততালির অপেক্ষায়,


পরিশেষে বলতে চাই--
বহু গামিনী নারী যেজন,অনেক তার বাসনা
আমি তাই করিতে পারিনা ,তার শুভ কামনা


আর কখনও ডাকবোনা তোমায়,
বিদায় আমি বিদায় ।