কর্মের তাগিদে,প্রতিদিন একই পথে
আমার নিত্য চলা,
একই সময়ে প্রতিদিন এক রঙের বসনে,
পরিহিতার গায়ের বাতাস
লাগে আমার গায় ।
হাতে ব্যানেটি ব্যগ,দুধে আলতা মেশানো রঙ,
বাঁশির মতো সুশ্রী নাক, কমলা মার্কা দুটি ঠোট,
শরীরের বৃত্তিয় ব্যাকরণে,দেহের ভাজে
চোখ ধাঁধানো রূপ ।
কথা হয়নি কখনও,তবে সালাম দিয়েছিলেম দু'বার
প্রতি উত্তর পাইনি আজও ।


গত এক বছর ধরে
অবচেতন মন বায়না ধরে,
অন্তরের মনিকৌটায়
ভাল লাগার বীজ বপন করে ।


আমি কি আমার আছি !


রোগহীন দেহে নিত্য জ্বরে,
বক্র নয়নে তাকায় শুধু
বচন নাহি করে ।


এভাবে দিন সপ্তাহ মাস যায়,
আমি হারিয়ে যাই,তার মনের গীরিখাতের
মনো মহাসাগরে।
নীলাভ শাড়ির নীলাম্বরী আঁচলে
তটনীর তরে তট হারাই বিদিশা ।


গত এক সপ্তাহ ধরে
দেখিনা আমি আর তারে,
নীরব মনের কষ্ট আমার
অশ্রুতে বারী ঝরে ।
দেখিনা আর চাঁদ মুখ
হারিয়েছি নীলাভ শাড়ি
উদাস নয়নে তাকাই পথ পানে
করিতেছি কষ্টের ফেরী ।
আজ-----
কুয়াশাচ্ছন্ন রাজ পথ,
সম্মুখ তাকাতেই নীলাভ আবছা আলোতে
নীলিমা শাড়ি নজরে এলো ।
খানিক চোখ মুছে এগুতে লাগলাম,
হ্যা সেই  তো ---আমার সেই মাধবী লতা,
খুশিতে মনে কলরব,আনন্দে আত্বহারা,
সামনে এলেই কিছু বলবো ।
একেবারে সম্মুখে ,এখনতো বলার সময়
পথ আগলে থমকে দাড়ালাম ,
বললাম-সু প্রভাত ।
ললাটে সিঁদুর দেখিয়ে কহিল আমায়—
হে মহান কবি-গত পরশু গেল আমার ফুল শয্যার রাত ।
রক্ত জমাট, নিথর দেহ, করিলাম দৃষ্টিপাত,
ষোডসী দেখাইলো আমায় বাজিমাত ।