জনক জননীর বড় আহলাদের সন্তান হয়ে, জ্যোৎস্নার
আলো আঁধারীতে কোন এক গভীর রজনীতে,
ভুমিষ্ট হয়ে কেঁদে উঠেছিলাম আমি ।
সেদিন ধাত্রীসহ উপস্থিত সবায়,বিকট শব্দে
হেসে উঠেছিল ।
আর অনবরত কান্না করছিলাম আমি ।
আমার কান্নায় মায়ের বদনে কিছুটা মলিনতার ছাপ,
বুকে নিয়ে উষ্ণতা দিল,অমনী আলাদ্দীনের চেরাগের মতো
আমার কান্না থেমে গেল ।
এরপর ধীরে ধীরে বড় হতে লাগলাম ।দু যুগ পার হওয়ার পর
অনুভব করলাম জীবনের সঙ্গ ।তৃতীয় যুগে খুজেও পেলাম তোকে ।
শুরু করলাম হৃদয় নিংড়িয়ে সব ভালবাসা উজাড় করে দিতে,
মায়াহীন মনে প্রেম ঢেলে,জীবনটা থেমে গেল ।


তুই শুরু করলি জীবন নামের পাশা খেলা ।তোর নারীত্বে
প্রেমলীলায় ফিরে আসতে হয়েছে প্রেমহীন বাঁক হয়ে ।
এ মনকে সাজিয়ে কতবার গেলাম রঙ্গশালায়,
বাহানার যেন শেষ নেই,ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিলি,
সাজানো পরাগ রেনুগুলো ।রাতের আঁধারে স্বপ্নের ঘোরে
ছাড় পোকার মতো হাতড়িয়ে খুজি নারী নাম্মী তুলতুলে দেহখানা ।
কিন্তু খোঁজে পাই না ।ঘর্মাক্ত ললাট মুছে ভাবতে থাকি,
মায়ের আহলাদি সন্তান হয়ে এ ধরাতে কেন জম্ম নিয়েছিলাম ?
ভালবেসে জীবন বদল করে,স্থীর নদে সাতার কাটতে চেয়েছিলাম ,
তোর উগ্রতার তরঙ্গের ঢেউ এ,আমি আর পারছিনা সাতার কাটতে ।
তোকে ভালবাসতে ভালবাসতে আজ আমি বড্ড ক্লান্ত,
মনের সর্বস্ব বন্দক তোর অসমীকরণ মনের কাছে,
কান্না আছে শব্দ নেই,নয়ন আছে বারী নেই ।


দ্বাদশী জ্যোৎস্নায় চন্দ্রতাপে নীশি রজনীতে লুকোচুরী খেলা
আর কফি পান করার মুহুর্থগুলো বড়ই পীড়া দেয় ।
আরামের শয্যা মৃত্যুগৃহ মনে হয় ।
হৃদয় আঙ্গিনায় রক্তক্ষরণে নীরব রক্তপ্রপাত,স্যাত স্যাতে
লোনা গন্ধ নিয়ে ,হৃদয় তবু তোরে খুঁজে ।
নৈকট্য আবেশ অসম বসন্ত অচলায়তন মন আজ আজম্ম আঁধারে ।
সবে মাত্র মনের শিকড়ে পচন ধরেছে,মন মরা শুন্য দেহ নিয়ে,
বেঁচে থাকার পালা ।অনঙ্গ শরীরী বাঁধন আর অসম প্রেমের সমীকরণ
চিহ্ন করে একটু করুণা করে আহত মন নিয়ে এবার আমায় বাঁচতে দেয়,
জলহীন কান্নায় কেঁদে বাঁচি ।চাইনা আর দর্শন করিতে ও মুখ,
শুনতে চাইনা নীতিবাক্য, এবার বাঁধন ছিড়ে দেয়,মুক্ত বিহঙ্গ হয়ে
নীলাভ আকাশে স্বস্থীর নিঃশ্বাস ফেলি ।ফিরে যাই মায়াভরা গাঁ এ ।
যেখানে তোর মত দ্বিতীয় জন নেই ।