তোমার বদন বড্ড মায়াবী, কিন্তু তোমার চাহনী!
চাহনীর গভীরতা সমুদ্রের বিশালতাকেও হার মানায় ।
নিত্য দ্যোতনায়,দিক চক্রবালে,আমি হতবাক হই,
ভাবনার গভীরে হারিয়ে  এলিনোনের প্রতিচ্ছবি দেখি,ভাব বুঝতেই যদি
জীবনের যবনিকা আসন্ন ,তাহলে যৌবনের লীলা কখন ?
বুঝা উচিত জীবনের সীমাবদ্ধতা ।


ঐ যে দেখো পাশের বাগানের পাখ পাখালীর কলতান ।
মাঝির মুখে ভাঁটিয়ালী গান,
পুকুরে দেখো, উচ্ছলতায় হাঁসদের আনন্দ মিছিল,
ঝপাৎ ঝপাৎ করে সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ,কানে আসছে শ্বাশ্বত শো শো গর্জন ।
শত পরিবর্তনের মাঝে এসব স্বাভাবিকতা এটাই নিয়তি এটাই সত্য,এটাই চিরন্তন ।
তবে কেন তুমি ব্যতিক্রম ?
তোমার ব্যতিক্রমতা আমার ভিতরে নিত্য তোলপাড় ।
বিরস বসন্ত ,বিষন্ন প্রহর,বিবশিত কালিমায়,অন্ধ মনোকানন,
মক্ষীর লোভে আসা মৌ কি আর আসতে চায় ?
এমন ভাবনায় নিজেকে বড় দীর্ণ দূয়ারী পরসী সহবাসী মনে হয় ।


যতক্ষন বুঝাই ততোক্ষন বুঝো,
দুরে এলে যত দোষ খূজো ।এটা জীবন নামের প্রহশন ।
অঙ্গে মাখিয়া সঙ্গে রাখিয়া, শয্যায় বিলাসীনি করে রাখতে আমারও মন চায়,
কিন্তু জীবনের গতির সাথে তাল মেলাতো হিমসিম খেতে হয়, এসব কিছু মিলিয়েইতো জীবন ।
তবু অগ্নী বদনে,রক্ত ঝরা নয়নে আমার সঞ্চিত রক্তকনিকা ,ফিনকির মতো বাহির করে দাও  ।
কি মজা পাও তাতে ?


কাজের কাজ একটাই, ধ্বংশ হয় সাজানো গোছানো সুখের লঙ্খাপুরী,
সৃষ্টি হয় হৃদয়ের সারা অঙ্গে কাল নাগিনীর বিষ ।চলে যায় বিস্রস্ত অশ্রু নয়নে সুখের হলুদ পাখী ।
মমতায় মাখা ভালোবাসা টুকু দূর্যোগের তরঙ্গে ছিন্নবিন্ন হয়ে যায় ।
এমন দৃষ্টিভংগী শুধু এলিয়ন দানবের শোভা পায়,মনুষ্যত্ব সমাজে তার কোন স্থান নেই ।
এমন ভাব শুধু ত্রাস করতে জানে, স্তব্ধতা আনে,অক্সিজেনে রসায়নের মিশ্রনে,দুষিত করে দীর্ঘশ্বাস ।
বেঁচে থাকার পরিধি সংকোচিত হয়ে আসে ।


একটু ঘুরে দাড়াও, এসো উত্তপ্ত বুকে,তোমায় আরও ভালোবাসি, আমার হাত ধরো,
দুজনে খুজে নিই সবুজ মাঠ,সৃষ্টি করি নব প্রজন্মের জন্য সুন্দর পৃথিবী ।
আর বুক ভরে একটু শ্বাস নিই ।হৃদয়ে অংকুরিত হউক ভালোবাসার ক্লোরোফিল,
হারিয়ে যাই নির্জীব নির্জনে নির্ভরতাহীন অভিমানে ।
গা ঘেঁসে বসে,গুণ গুণ করে গেয়ে যাই,চিরচেনা সেই গানের কলি ।
′তুমি যে আমার ওগো,আমি যে তোমার ′
আর অনুভব করি জীবনের স্বার্থকতা ।