নিত্য প্রয়োজনীর দৈন্যদশায়
খেঁটে খাওয়া মানুষের,
মস্তিস্কে উম্মাতল কেয়ামত ।
অভাবের নদীর স্রোতে,কিঞ্চিৎ সুখের ঘর যেন
নীরব বিকীর্ণ ধ্বংশস্তূপ ।
অগনিত মানুষ যেন জীবন্ত লাশ
শব্দহীন আঁখির জলধারা,
লোভাতুর দৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ
যেন কামড়ে কামড়ে খাই ।
কেন দাঁড়িয়ে থাকবে অভাবের এ বাংলায়
বিজয়ের ভাস্কর্য্য !
আমরা কি খাদ্য স্বাধীনতা পেয়েছি!
স্বাধীনতার এত বছর পরেও কেন
অভাবমাখা কংকর নদী স্রোত !
নিত্য প্রয়োজনীয়ের লাগামহীন সিন্ডিকেট,
কোথায় স্বদেশপ্রেম? কোথাই মানবতাবোধ!
এমন মানচিত্র আমরা চাইনি ।
শব্দ করে কান্নার ভয়,প্রতিবাদে স্ট্রীমরোলার,
কেন মৃত্যুর রোদে পুড়ছে দেহ !
আর কত !
শ্বাপদ হায়েনা নেকড়ে কুকুরের কামড় সহ্য করবো !
অন্ততঃ স্বাধীনভাবে কাঁদতে দে,না হলে বাঁচার মত বাঁচতে দে,
নয়তো পাকিস্তানী হায়েনার মতো ,নীর্বিচারে গুলি করে
বুকটা ঝাঁঝড়া করে দে ।
চোখের লোনা জল  আর রক্তের লোনা স্বাদ
নিথর দেহ নিয়ে পড়ে থাকি,
তবু মুক্তি চাই ।