ওহে ভাবুক, রৌদেলা বিকালে
নীলিমায় পানে তাকিয়ে কি ভাবছো!
সমুদ্রের লোনা হাওয়া আর উত্তাল ঢেউ!
ভাবছো কি পথ ভোলা প্রিয় জনের কথা !


না না, অমন ভাবনার কিনারা নাই,
এবার ভাবো তোমাকে নিয়ে, কে তুমি!
আগে নিজেকে ভাবো,তারপর ভাবো,স্বীয় স্রষ্ট্রার
সৃষ্টির ব্যাকুলতা ।দেখো ঐ পাহাড়ের ঝর্ণাধারা,
শতেক পাখির শব্দের কলতান,অক্সিজেন ভরপুর
সুশীতল বাতাস,দুর দুরান্ত থেকে ভেসে আসা
হিংস্র পশুর ক্ষুদার্থ গর্জন ।


থমকে দাড়াও শংঙ্খ নদীর পাড়ে,প্রশ্ন করো ,
ওহে জল তুমি কেন বহমান!
হে পান্থ তুমি যাও,অসম পাহাড় তোমাকে আহবান করছে।
তুমি দেখো, দুঃখিনী জননীর অনাহারী আহাজারী ।
আরও দেখো দুঃখিনী তার ষোড়সীর দিকে
লোলুপ দৃষ্টিতে তাকানো সভ্য সমাজের অসভ্য কীট।


এবার ভাবো, তুমি কে, কি তোমার করনীয়!
শুধু নীলিমায় তাকিয়ে নীলই দেখতে পাবে,
সৃষ্টি দেখে, নিজেকে সৃষ্টি করো,
আপন স্রষ্টা খুজে পাবে ।