এখানে কেউ নেই,চৌদিকে বিস্তীর্ণ উর্বর ভুমি,
দুর দিগন্তে লোকালয়ের হাতছানি,
সো সো বাতাসের গর্জন,এখানে নাকি ভূত পেত্নীদের
নিত্য বিচরণ।চতুরাংশে বৃক্ষ মিছিলের গিজগিজ,
আর ভয়ার্থ বাঁশঝাড় ।
তার নাম তৈয়ার পুকুর পাড় ।


ধীর পায়ে হাটছি আর তোমার কথা ভাবছি,
ক্লান্ত দেহে বসে পড়লাম,বাঁশ ঝাড়ের সুশীতল ছায়ায়।
ব্ক্র হাটুতে শীর ঠেকিয়ে অলিন্দ ধমনীর দুর্বল রক্ত সঞ্চালন।
অবরুদ্ধ কষ্ট দহনের কলিজ্বা পোড়া বিষাক্ত ধোঁয়ার নির্গমন।
শুনশান নীরবতা,ছোট মাছের চঞ্চল মিছিল,স্থীর জলে দামাল ঢেউ ।


তোমার দম্ভ আর বিশ্বাসঘাতকতা বিস্মৃতির অন্তরালে,
অহর্নিশ অঙ্গার জ্বলে,আর ঘৃনার নয়নে অঙ্গিস্পুলিংগ,
সমাহিত করে দিলে আমার সুন্দর মন ।
তোমার অসত্য প্রেমাভিনয়ে ,ভেঙ্গে গেল আমার লালিত স্বপ্নের ইমারত ।
দুর হও ,শুন্য করে দাও আমার মনের আসন।
ধুসুরতম আঁধারেও বাঁচতে চাই তুমিহীন পৃথিবীতে ।


হঠাৎ মিষ্টি হাওয়া নসিংদ্রে উপভোগ করলাম,
এ ভয়ার্থ পুকুর পাড়ে এমন সুগন্ধ সত্যিই বিরল।
সন্ধিৎ ফিরে শীর তুলে সত্যি অবাক ব্যাপার।
ভালোবাসর আকুতি ভরা হস্তে সাদা ফুল নিয়ে দন্ডায়ন এক ষোড়সী।
বাতাসে চুলে তার দামাল হাওয়ার দোলন,
উড়নাটা যেন এখনই উড়ে যাবে।
জোড়া ভ্রু ঈষৎ টেংরা মায়াবী নয়ন,বেশ পরিচিত মনে হচ্ছে।
জ্বীন পরী নয়তো---!
কিছু বলতে যাবো অমনী----


প্রিয়ংকা---আমি প্রিয়ংকা,অর্ধযুগ পূর্বে তোমার সাথে বেশ বন্ধুত্ব ছিল।মনে পড়ে? নীশি রজনীতে তোমার সাথে চ্যাটিং করতাম?


কবি-হা মনে পড়ছে,কিন্তু তুমি এখানে?
প্রিয়ংকা--প্রিয়কবি,মন আজ বড্ড আহত,বড় একাকিত্ব,শান্তির ধবধবে সাদা ফুল নিয়ে আমার অবচেতন মনের আকুতি জানাতে এসেছি।আমায় গ্রহন করো কবি,আমি তোমার সব কষ্ট ভুলিয়ে,তোমার লিখনী দিয়ে নতুন কবিতা প্রকাশ করতে চাই।যে কবিতায় কোন দিচ্ছারিনী আর মনো খেলোয়াড় থাকবে না ।


কবি--কিন্তু আমার কলম যে শুকিয়ে গেছে।


প্রিয়ংকা-আমার ভালোবাসা দিয়ে তোমার কলমের কালি ভর্তি করে দেবো কবি।তোমার বাহু ডোরে আমার নগ্ন চিবুকে আলতো আদর দাও,স্বপ্ন বুনি স্বপ্ন আঁকি,
আমি থামিয়ে দিতে চাই,তোমার মনের টর্নেডো,মরুঝড়,ভুলিয়ে দিতে চাই অতীতের ভ্রান্তির বাসর।আমার উতালা মনে শান্তির পরশ দাও কবি।


হঠাৎ ঝাপটে ধরলো আমায়,নিমিষেই সব ব্যথা হাওয়া।