অবিস্মরণীয় এক কাব্যিক ভাষণ বাঙালির মনকে নাড়া দিয়েছিল
বাঙালির আত্মাকে আগুনের ফুলকির মত যুদ্ধযাত্রায়-
জ্বলে উঠতে অনুপ্রেরণায় জাগ্রত করেছিল
যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরতে বাঙালির মনকে দুঃসাহসিক সাহসে
নতুন দেশ গঠনে পাক হায়নাদের বিরুদ্ধে
রুখে দাঁড়াতে ঐক্যবদ্য করেছিল l
বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কথা মালা তার মধ্যে নিহিত ছিল
স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের ডাক।
অভিশপ্ত জীবনের ইতির বহিঃপ্রকাশ ,
শোষণ মুক্ত রাজনীতি বৈষম্যের অবসান,
কথা বলার স্বাধীনতা পরাধীনতা থেকে মুক্তি,
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা অবকাঠামো গত উন্নয়ন,
রাষ্ট্রের মালিক হবে জনগণ l
ভোটের অধিকার ও ভাতের অধিকার নির্শ্চিত করণ l
কর্মচারীদের প্রাপ্ত অধিকার বাস্তবায়ন
ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কথাই উনি কাব্যিক সুরে বলেছেন
লক্ষ লক্ষ জনতা নির্বাক হয়ে সেই অমর কবিতা শ্রবণ করেছেন l
আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাইনা আমি এই দেশের মানুষের মুক্তি চাই l
প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো।
তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।
রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দিব,
এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ ।
দেশের জনকের মুখ দিয়ে উচ্চারিত সেই অমর উক্তি
জালিমের দুশমনি থেকে মুক্তির ঐতিহাসিক উদ্দীপ্ত ঘোষণায়
বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম l
সেই থেকে বাঙালির বীর সন্তানেরা বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম
ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে
জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল,
ত্রিশ লক্ষ বাঙালির প্রানের দামে দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে
দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অর্জন অর্জিত মহান স্বাধীনতা l
আজও মনে পড়ে ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ-
বাঙালি জাতির স্বাধীনতার দলিল ও দিক নির্দেশনা মূলক
বজ্রকঠিন জাতীয় ঐক্যের মূলমন্ত্র
স্বাধীনতার অগ্নিঝরা কাব্যিক কবিতা জয় বাংলা l


রচনাকাল ৭ মার্চ ২০১৬ ইং
ব্রুকলিন, নিউ ইয়র্ক ৷
-------------------------------------------------------------------------------