দিবানিশি কাটে নিত্য বিরহ শয়নে,
             অনুভব অহরহ অর্ধজাগরণে।
পাষাণ রূপে একাকী জাগিয়া,
নিদ্রাহীন রজনি কাটে কোথা ছিলে প্রিয়া?
অভিশাপ ভেদ করে ক্রুদ্ধ গর্জনে,
        বসন্ত সমীর বহে নিত্য পুষ্পবনে।
ধরণিতে উৎসবের আগ্রহ থাকে ধীর,
             অসূর্যস্পর্শ্য তবু সে যেন বীর।
রহস্যময়ী অপূর্ব এ যৌবন,
                 মুক্ত কৃষ্ণকেশে অবগাহন।
নিশিতে কাঁপিছে উল্লাসে,
         উল্কা, নক্ষত্র, ধুমকেতুর উচ্ছ্বাসে।
মুছে দিয়েছে পাপ তাপ ,
                   নগ্ন যামিনীর দঃখ ছাপ।
চুপে চুপে অন্তঃপুরে পুষ্পাজালে,
         বিষপানে নিত্য তারই অন্তরালে।
রেখে গেলো পদচিহ্ন জীবনের বাঁকে,
অন্তঃপুরে শূন্য ঘরে একাকি ছবি আঁকে।
নিভৃত কুঠির ঢাকে আঁধার অভিমানে,
    আর্ত বেদনার রোদন কাননে কাননে।
অন্তঃপুর আজ বিষক্ত মহাদানবের গ্রাসে,
       কেঁদে ফেরে তারই চারিপাশ ত্রাসে।
নিষ্ঠুর বিদ্বেষ দিলে প্রিয়া,
    ত্রাসে কাঁপে মধুলেহী! অভিমান নিয়া।
                                                    


(৩০জুন২০০৯)