চেয়ে থাকি দূরে অতৃপ্ত নয়নে
নিপীড়িত মানবতার দগ্ধ কাননে,
অবহেলিত দর্শণ বিলাসের অবাকাশে
বর্ণহীন কৃত্রিম হাসি ভাসে ভাসে;
বিদগ্ধ বিলাসের দীপ্ত জীবনের রূঢ়তায়
স্মৃতিকথগুলো দানা বেঁধে ওঠে ভীত শঙ্কায়।
বিষাদের তরঙ্গ তবু আত্ম-সুখের ব্যাধিতে সংক্রমিত
দূরত্বহীন কোন এক সবুজ সমারোহে।
তবুও চেযে থাকি সর্পিল গতি সড়কের পথে
ক্ষীণ শিখা জ্বলে আজও মাঝরাতে।
নিপিিড়ত মনে একাকী অতৃপ্ত নয়নে,
তারা জ্বলে শেষরাতে শূন্য নীলপট কাননে।
প্রসারিত বাহুতটে
তিমির গর্ভে দিশেহারা বটে,
শাল-বীথিকার সন্ধ্যা প্রাচীরে।
দীপ জ্বালিয়ে চলে যায় ধীরে ধীরে
লুণ্ঠিত রাত্রির ঝঞ্জাবিক্ষুব্ধ ঝাঁপটে
বৃথা শোকে চেযে থাকি অতৃপ্ত নয়নে।
দূরত্বহীন সর্পিল বিছিন্ন সড়কে
চঞ্চল রাত্রির শেষ প্রহরে,
কোলাহল অস্পষ্ট জয়ের ক্ষুরধ্বনি সুখে
অতৃপ্ত নয়নে চেয়ে থাকি বৃথা শোকে!
গ্রীষ্মের উত্তপ্ত নিঃশ্বাসে সন্ধ্যা দীপখানি,
বসন্তেও খসে পড়ে ফুলদানি।
মৃত্যুর নিঃশ্বাসে দগ্ধ কানন,
দূরপানে দৃষ্টি অতৃপ্ত নয়ন!
বাহির প্রান্তে সেই ঝড় আজও বুকে বাজে,
যোজন যোজন শঙ্কা সম্মুখে বাজে!