বিষাক্ত নাগিনীরা দংশন করেছিল জাতির ভালে;
  ভিজেছিল বাংলা, বাঙালির চোখের জলে।
        সারাদেশ শোকাবিভূত, স্তব্ধ!
                        বেদনায় বাকরুদ্ধ।
          শোকের ছায়ায় জাতি মুহ্যমান;
           বুলেটে ছিন্নভিন্ন বাংলার প্রাণ।
    ঘাতকের নির্মম বুলেটে যায় বাঙালির প্রাণ,
কাঁদে বাংলার প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
          হৃৎপিণ্ডের রক্ত দিয়ে আঁকা ,
     মুক্তিকামী জনতার জাতীয় পতাকা।
      বাংলাদেশের প্রতিটি মাটি-কণায়
          রক্তে সিক্ত ভালোবাসায়।
শক্তি-সংগ্রাম- আন্দোলনের অনুপ্রেরণায়,
    কেঁপে ওঠে আজও বাঙালির হৃদয়
সাতমার্চের ভাষণ জোয়ার এনেছিল প্রতিবাদ-প্রতিরোধ,
       জাগিয়ে তুলেছিল বাঙালির দেশত্ববোধ।
ওরা নির্মম! ওরা নিষ্ঠুর!
  ওরা চেয়েছিল পরাধীনতার শৃঙ্খলে থাকতে,
        ওরা চেয়েছিল অন্যের দাসত্ব করতে।
     ওরা মানবতার শত্রু বাঙালির দুশমন,
          হত্যা করে চালিয়েছিল দুঃশাসন।
     সর্বত্রই নেমেছিল আঁধারের অভিশাপ,
        বন্ধ করেছিল বঙ্গবন্ধুর আলাপ।
      দেশবাসি ছিল উদ্বিগ্ন ক্রন্দনরত
দেশের শত্রুরা বাঙালির হৃদয় করেছিল ক্ষত।
    বেদনা ভারাক্রান্ত বাতাসে উঠেছিল বেগ
     বেদনাবিধুর আর্তনাদে বাঙালির আবেগ,
     বুলেটের আঘাতে বাঙলি স্তব্ধ ক্ষত-বিক্ষত
     অভিভাবকহীন জাতির বিবেক মৃত!
    গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনার প্রাণ পুরুষ
                        এক বুলেটেই চিরপ্রস্থান!
স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়ে, স্বাধীনতা দিয়েছে জাতিকে,
   ভালোবাসতেন বঙ্গবন্ধ, বাংলা ও বাঙালিকে।
     সাহসে-সংগ্রামে-সততা- আপোসহীনতায়,
        বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালির মুক্তির প্রেরণায়।