বাংলাকে দেখেছি চৌচির মাঠে
তৃষ্ণার্ত নয়নে,
খাঁ খাঁ রৌদ্রে, দিনের আলোতে
কাকের কর্কশ গানে।
গ্রাস করে শুষ্ক প্রকৃতি, রুক্ষ্ম
কালবৈশাখীর তান্ডবে ছাই,
সুমিষ্ট ফল অবশেষে প্রাণ জুড়ায়
জৈষ্ঠ মাসে ফলের সময়।
তোমাকে দেখেছি কর্দমক্ত পিচ্ছিল
মেঠো পথে,
সবুজ গুল্ম বেডে ওঠা টুইটুম্বর
বৃষ্টি সন্ধ্যা রাতে।
দুঃখীনির দুঃখ গ্রাম শহর ভাসিয়ে
নব যৌবন বর্ষায়,
চারিদিকে থৈ থৈ গৈরিক কাদাজল
বাংলার বর্ষায়।
তোমাকে দেখেছি শিশির ঝরা
শিউলি শরত প্রভাতে,
কাশফুল বিছানো শুভ্র সতেজ
খন্ড মেঘের বাতাসে।
শান্ত প্রকৃতিতে পাল তুলে
গান গেয়ে চলে নৌকা,
অপরূপ সৃষ্টি বাংলার প্রকৃতি
বিচিত্র রূপে আঁকা।
তোমাকে দেখেছি আমি বাংলার
নবান্ন উৎসবে।
বাংলার গ্রাম গঞ্জ শহরে মেতে
ওঠে প্রাণের উৎসবে।
অপরূপ ঘ্রাণে মেতে ওঠে
শান্ত প্রকৃতিতে।
রূপকথার গল্পে কল্পকাহিনী
হেমন্তের মাঠে মাঠে।
তোমাকে দেখেছি শুষ্ক হাওয়ার
খেজুর রসে।
শীতের সকালে সুমিষ্টি রস আর
আগুন পোহাতে বসে।
কুয়াশা জড়ানো নির্জিব পৃথিবীর
প্রকৃতি জুড়ে।
শুষ্ণতার মাঝে রুক্ষ্ম বাংলাকে
ভরে দেয় সবুজ সবজীতে।
তোমাকে দেখেছি নবজাগরণের
সবুজ সতেজ ডালে।
পাখির কলরব আর আগুন লাগা
শিমুল ডালে,
তাই অবশেষে আসে ঋতুরাজ বসন্ত
নব যৌবন নিয়ে,
ফুল, পাখি প্রকৃতিকে জাগিয়ে তোলে
হলুদ রাঙ্গা শাড়ীতে।