এসেছে নতুন বছর, মেতেছে বাংলা হাসি আনন্দে;
সেজেছে গ্রাম শহর নগর বন্দর নব ছন্দে।
    চৈত্র-সংক্রান্তি শেষে
               ভোরের সূর্য হাসে।
বিদায়ী বছরের দুঃখ জ্বরা গ্লানি হিংসা ভুলে,
বর্ষবরণ মিলনে বাঙালির উৎসব মহামিলনে।
    সারা বাংলা তথা রমনার বটমূলে,
নববর্ষের উৎসবে জড়ো হয় হিংসা ভুলে।
   নবযাত্রা বাঙালির পহেলা বৈশাখে,
নতুন প্রভাতে আগামী দিনের ছবি আঁকে।
   এসেছে নতুন বছর, এসেছে বৈশাখ;
নবযাত্রায় আজ সবই পুরাতন ব্যথা ভুলে যাক।
তাই, মেতেছে বাঙালি বর্ষবরণ উৎসবে,
     বৈশাখ আজ ধরার বুকে।
         মিলেমিশে যেন সবাই থাকি সুখে।
সারাটি বছর বাঙালির সংস্কৃতি নিয়ে বুকে।
চৈত্র শেষে বৈশাখ প্রভাতে বসে মিলন মেলা,
কৃষাণীরা ছিন্নি পায়েস রাঁধে সারাটি বেলা।
পান্থা ইলিশ খাওয়া আজ শহুরে ফ্যাশান,
পাজামা পাঞ্জাবি, শাড়ি লুঙ্গি বাঙালির প্রাণ।
     বাংলার রূপ বাঙালির গানে,
            গ্রামীন মেলা বাঙলিত্ব আনে।
বর্ষবরণে ভোরের সূর্য ওঠে হেসে,
নতুন দিনে  আগামীর ছবি উঠে ভেসে।
ঋতুভেদে বাংলার শতরূপ বাঙালির অহংকার,
ধনী গরিবের মিলনমেলা ,আহ কি চমৎকার!
বাংলার গান, বাঙালির প্রাণ, নববর্ষের মেলা;
হাজার বছরের লোক ঐতিহ্যে বাংলার পথ চলা।
ছোট ছোট ঘর , সারি সরি দোকান পল্লী সমাজচিত্র;
নাগর দোলা, ঘুড়ি উড়ানো, পুতুল নাচ বাংলার ঐতিহ্য।
চৈত্র সংক্রান্তি শেষে বৈশাখে নতুন বছর শুরু,
আনন্দে মাতে উৎসবে, সবার মন দ্রুরু দ্রুরু।
   কৃষক আঁকে শস্যের ছক বৈশাখীপাতা,
    ব্যবসায়ী  ধুয়ে মুছে খোলে হালখাতা,
  ধার দেনা বু’ঝে দিয়ে খোলে নতুনখাতা।
প্রভাতের মতো যেন হয় বাঙালির জীবনপাতা।
   এসেছে বৈশাখ, নতুন বছর
            দূর হোক অপসংস্কৃতির আছর।
   গ্রামীন মেলায় কিংবা বটমূলে
আপনাকে যেন ধবংস না করি আপন ভুলে।
হাসি আনন্দে মিলে মিশে থাকি সবাই একত্রে,
ভেদাভেদ ভুলে বেঁচে থাকি আমরা বাঙালির ঐতিহ্যে।
(১৬ এপ্রিল ২০১০)


###  কবিতাটি  ২০১০ সালে লেখা  তাই এখন কার সময়ের সাথে কিছুটা  অমিল। বর্তমানে করোনায় পুরো বিশ্ব তছনছ করে দিচ্ছে। ####