আলো আঁধারিতে চলে নৈঃশব্দে, ধোয়াশার মাঝে,
আশা নিরাশায় ব্যবধান বাড়ে দিবনিশি কাজে।
নিত্য ঘুমে ভালোবাসার অভিনয়, এ অন্তরীক্ষ;
বিষকুমারির দংশনে পুড়ে নীল তব এ বক্ষ।
সব নীল দ্যাখে অনিন্দ্য সুন্দর কুমারির অবয়ব,
তবু কেটে যায় যৌবন, ভালোবাসার জ্বালা সব।
নীল রঙে ঢেকে যায় নিরব দেহ!
বিষকুমারির সাথে থাকে অন্যকেহ।
নব্য আধুনিক স্মার্ট হওয়ার চেষ্টায় একটু,
কী যে বালখিল্য পোশাকে পানশালায় মারে ঢু।
আঁচল দিয়ে ঘোমটা দেয় না, সব যেন আজ স্পষ্ট;
ধোঁয়ার মাঝে বসবাস তার বিষকুমারির সাথে ঘনিষ্ট।
কাল-কালান্তরে চলে বিষকুমারির অনন্ত খেলা ,
ভৈরব হরিহর কপোতাক্ষ জলে ডুবিছে বেলা।
স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায়! স্বপ্ন রচনা করে না কুমার,
ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে নিঃশেষ তবু গড়ে বারবার।
নীরব ভৈরব খেলা। গস্ধহীন নীল দহন জ্বালা,
বিষকুমারির বিষে ধন-ঐশ্বর্য্য শেষ, রূপ বিনশী খেলা।
                                              


       ( ২৩ জুন ২০০৯)