চৈত্র সংক্রান্তি
অমর প্রেমের সুঘ্রাণে বসন্ত সেজেছে নীলিমা নিকুঞ্জে,
মধুমক্ষিকা কালজয়ী বেশে উড়ে উড়ে ফুলবনে।
রক্তে নির্জনতায় জ্বলে ওঠে উষ্ণতা
চৈত্র সংক্রান্তির আগমনী সময় প্রান্তরে!
মন্ত্রমুগ্ধ সময়ে দুলে ওঠে ইন্দ্রিয় বিলাপে,
আনন্দবার্তা নিয়ে মুখোমুখি প্রিয়তমার আলাপে।
চৈত্র সংক্রান্তির অপরাহ্নে!
দিকে দিকে ঐ আগমনী বার্তা; সেজেছে মহুয়ার বন,
কোকিলের কুহু কুহু রবে জেগে ওঠে প্রেয়সীর মন;
বুনো হাওয়া বহে; তপ্ত খরতাপে অমর প্রেমের ঘ্রাণে।
চড়কি পূজার আগমনী বার্তা ঐ যে দূর জনপদে
বসন্ত সেজেছে দেখেছো কি চোখ তুলে!
ফাগুনের গায়ে আগুন লেগেছে ঐ দেখ শিমুল ডালে,
আগমনী বার্তা আজ যৌবনের পালে।
নীরবতা ভেঙ্গে, নৈঃশব্দে ভীড় করে বসন্ত মেলাতে।
ঢুলি তবলার তালে তালে বাতাসে উড়ে উড়ে ,
নবীনের মন, যৌবনের চঞ্চলতা ফুড়ে;
সজনার ডাঁটা ফুঁটে উড়ে চলে বীজ, নতুনের সন্ধানে।
অমর প্রেমের সুঘ্রাণে ঐ চৈত্র সংক্রান্তির অপরাহ্নে!
যৌবনের আগমনী বার্তা নিয়ে।
তপ্ত ধরণীতে মরীচিকা ঝরে আলেয়ার ঝিকিমিকি,
নৈঃশব্দে বেরিয়ে পড়ে দুরুদুরু মন দিকিদিকি;
প্রেয়সীর আঁচলে খোঁপায় কৃষ্ণচূড়ার ফুল।
বাঁধভাঙ্গা জোয়ারে সম্মুখ গতিতে চলে আর চলে
চৈত্র সংক্রান্তির মেলাতে।
রূপালী জ্যোৎস্নায় একাকী জানালার শার্শিতে
আগমনী মেঘ ভীড় করে প্রতীক্ষার স্পর্শে।
ক্ষণিকের অনুভূতিতে!
তবুও ভাবি, দেখা হবে চৈত্র সংক্রান্তির মেলাতে।।
তপ্ত হাওয়ায় সুপ্ত আবেগ দোলা দেয় বসন্ত বিকেলে,
চৈত্র সংক্রান্তি সেজেছে বসন্ত বিদায় দিনে,
নববর্ষের আগমনে।