এই ধরণীর কতটুকু আমরা সবাই জানি?
হিংসা-ঈর্ষা লোভের বসে টানছি সংসারের ঘাণি।
সাগর নদী পাহাড় ভূমির এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড,
দেখছি সবাই প্রকৃতির সব অবাক করা কাণ্ড।
পর্বতের ঐ বরফ বুকে, রৌদ্র খেলা করে;
নদীর বুকে জলধারা অবাধে ছুটে চলে।
ঝর্ণাধারার নৃত্য চটুল দেখতে চমৎকার মনোরম,
বনানীর প্রকৃতিটা বিস্ময়কর! অপরূপ নয়নাভিরাম।
দিনে দিনে সমস্যা বাড়িয়ে ধরণীকে করছি শুধু কাবু,
ভালো কাজে উৎসাহ নেই, অসৎ কাজে আগ্রহ তবু!
অবাক করা কাণ্ডগুলো প্রতিনিয়ত অবাক হচ্ছি দেখে,
কাজকে আমরা অবজ্ঞা করি, কাজ করি না শিখে!
এ ধরণীর কতটুকু জানি, হামবড়া ভাব সবই জানি;
সমালোচনায় পটু! ভাব দেখায়, সবার চেয়ে জ্ঞানি।
জ্ঞানি-গুনি বিজ্ঞজনেরা সবাই স্বীয় পেশায় দ্বীপ্তমান,
প্রকৃতি থেকে নিয়ে, মানুষকে দিয়ে, তাঁরা হয় মহিয়ান।
আমরা আজ খাচ্ছি-ঘুমাচ্ছি আর সমালোচনার
ঝড় তুলি চায়ের কাপে,
বলো দেখি ভাই-বোন-বন্ধু! কি পেলো?
দেশ-জাতি তোমার কাছে!
(১২ মে ২০১২)