জগতের বুকে নরপিচাশেরা মরছে ধুকে ধুকে,
কখন কি জানি কি হয়! মৃত্যুর ভয় এই অসুখে।
জীবনটা যে গেল ঐ
কোথাও কেউ নেই!
ওরা শত্রুকে ভয় করে, তবে স্রষ্টাকে নয়
সে কারণে জীবন শেষে আজ বড় অসহায়!


ভয়ে ভয়ে কাঁপে, ধরণীর বুকে ধুকে ধুকে;
কূটকৌশলে গুজব রটায় সর্বত্র মুখে মুখে।
দেশপ্রেমি নয় ওরা
বিদ্বেষে কাঁপায় ধরা
মৃত্যুকে কেন ভয়! কর্ম জীবনই করবে অক্ষয়
বাদশা ফকির দরবেশ প্রজা অবশেষে এক হয়।


হানাহানি করি, মারামারি করি ক্ষমতায়, পৃথিবীর বুকে,
স্রষ্টাকে ভুলে, মেতেছি আনন্দ উল্লাসে প্রেম অসুখে।
মিথ্যার বেসাতি! ছল
হিংসা ছড়ায় অবিরল,
স্রষ্টাকে আজ মানুষে করছে অপমান অবহেলা,
সবাই বুঝবে, যখন শেষ হবে কাজের বেলা।


বেলা শেষে অবেলায় সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে একা,
মনে হয ধরণীর বুকে সর্বাপেক্ষা আমিই বোকা।
ধুকে ধুকে মরি
পারেতে নাই তরী
ভবনদী তাই টর্ণেডো ঝড়ে কাঁপে কাঁপে
পারের তরী যায় ডুবে, তরঙ্গের চাপে।


ভবনদী পারাপারের হলো বুঝি সময়
জীবন শেষে কাঁদছি একাকী হে দয়াময়।
জীবন বায়ু শেষে
মাটিতে মেশে
বেলা শেষে, যেতে হবে, দাঁড়াবার সময় নাই আর,
জীবন শেষে হিসাব মেলে না, সবাই যেন আজ পর।